বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

শ্যামনগরে জমিজমা বিরোধের জেরে স্কুল শিক্ষক ভাইকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলায় জমিজমা বিরোধের জেরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকির অভিযোগ। অভিযোগ করেন উপজেলার শংকরকাটি গোবিন্দপুরের মৃত সাত্তার গাজীর পুত্র নূর আলি। তিনি উপজেলার ৭৯ নং অন্তাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভুক্তভোগী নূর আলি জানান, আমার বসত ঘরের ছাদের পানি নামানোকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই আব্দুল হামিদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জেরে গত ১৬ জুন ২২ তারিখে আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমার স্ত্রী সায়রা বেগম আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আমার স্ত্রীর ডাকে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যার নং- ৫২/২৫৫। উক্ত মামলায় পুলিশ আব্দুল হামিদকে কারাগারে পাঠায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হামিদের পরামর্শে মেঝ ভাই আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে তার পুত্র মনিরুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন ওরফে বাবু, রফিকুল, শিমুল হোসেন, রহমত, আলাউদ্দীন, ইমন হোসেন ও ইমরান হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মোকছেদ গাজী ও সুজন সহ ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী আমার দায়েরকৃত ৫২/২৫৫ নং মামলার স্বাক্ষী শরিফুল ইসলামের বাড়িতে ২৬ জুন২২ তারিখ রাত ৯টায় হামলা চালিয়ে স্বাক্ষী নুর মোহাম্মাদের বাড়িতে নিয়ে তাদের উভয় পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তাদের মারপিটে ২নং স্বাক্ষী গুরুতর আহত হলেও চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে না পারে সে উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় ১১ জনের নাম উলে­খ করে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং-২/২৬৬। উক্ত মামলায় পুলিশ ১নং আসামী আব্দুস সোবহানকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। ১ম মামলায় গ্রেফতার হওয়া আব্দুল হামিদ ২২ দিন জেল খাটে এবং ২য় মামলার আসামী আব্দুস সোবহান ৩ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়েই ওই দিন সন্ধ্যায় একটি কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে তার স্ত্রীকে বাদী করে আমার দায়ের কৃত ২/২৬৬ নং মামলার আসামীদের স্বাক্ষী বানিয়ে এবং আমাকে সহ স্ত্রী ও পুত্রকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার নং- ১২/২৭৬। অথচ আমার পুত্র সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং একটি মেসে থাকে। তারা আমার দায়েরকৃত মামলা দুটি তুলে না নিলে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে পরিবার সহ নিজ জীবনচরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক নূর আলি। এবিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com