দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ শরীয়তপুর গোসাইরহাটে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কিশোরী সাহিদা আক্তার (১২) হত্যা মামলার একমাত্র আসামী মিজানুর রহমান মিজান ওরফে মিজান বাঘাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন শরীয়তপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমানের আদালত। যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত মিজানুর রহমান ওরফে মিজান বাঘ গোসাইরহাট উপজেলার পূর্ব লাকাচুয়া গ্রামের আব্দুর রব বাঘার পুত্র। গত রবিবার (২৫ জুন) জনাকীর্ন আদালতে পিন পতন নিরবতার মধ্যে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ রায় ঘোষনা করেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশের পাশাপাশি আদালত দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। ১৪ জন সাক্ষী আদালতে পর্যায়ক্রমে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন, আসামীদের স্বাক্ষ্য, মামলার অপরাপর উপকরনে আসামীর অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানীত হওয়ায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলার বিবরনে জানা যায় ২০১৬ সালের ৪ আগষ্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় লাকাচুয়া গ্রামের মানিক সরদারের নাবালিকা কন্যা সাহিদা আক্তার নিপা (১২) পার্শ্ববর্তী তার বড় বোন সালেহা আক্তারের বাড়ীতে দুধ আনতে যান। পথে একই উপজেলার পূর্ব লাকাচুয়া গ্রামের আব্দুর রব বাঘার পুত্র মিজানুর রহমান ওরফে মিজান বাঘা সাথে দেখা হয়। আত্মীয়তার সুবাদে সে সাহিদা আক্তার নিপাকে কেক খাইতে দেয় এবং পূর্ব শত্র“তার জের ধরে নিপাকে পাশের রাস্তায় নির্জন স্থানে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী খালের পাড়ে ফেলে রেখে যায়। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ গং নিপার বাড়ীতে খবর দিলে তার পরিবারের সদস্যরা নিপাকে মৃত দেখতে পায়। এঘটনায় সাহিদা আক্তার নিপার পিতা মানিক সরদার বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর, ও আলোচিত এই হত্যা মামলার বাদী পক্ষ অর্থাৎ নিপার পরিবারের সদস্যরা আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান তারা এই রায়ে খুশি এবং স্বস্তি অনুভব করছি। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করে পিপি এ্যাডঃ মীর্জা হযরত আলী আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. মো: শাহ আলম। রায়ে সরকার পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসামী পক্ষ আপীল করার কথা জানিয়েছেন।