মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়: প্রধানমন্ত্রী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩

এফএনএস: আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সকল সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়। যদি কেউ আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই আগুনেই তাকে ফেলতে হবে, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতই পোড়াতে হবে। তাহলে এরা সোজা হবে, নাহলে সোজা হবে না। কারণ, যে যেমন তার সঙ্গে তেমনই করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সকল সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়। যদি কেউ আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই আগুনেই তাকে ফেলতে হবে, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতই পোড়াতে হবে। তাহলে এরা সোজা হবে, নাহলে সোজা হবে না। কারণ, যে যেমন তার সঙ্গে তেমনই করতে হবে। এ সময় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দিতে হবে। আর মানুষের জানমালের সুরক্ষা দিতে হবে। এটাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। আমাদের আর কোনো কিছু নাই, আমাদের কোনো মুরুব্বি নাই। দেশের জনগণই আমাদের সব। শেখ হাসিনা বলেন, এটা ভুললে চলবে না যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। অনেক দেশ বিপক্ষে ছিল কিন্তু বাংলাদেশে জনগণই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওদের চক্রান্ত হলো নির্বাচন বানচাল করা। আর এই নির্বাচন বানচাল করার পেছনে অনেকেরই হাত রয়েছে। কিন্তু আমাদের শক্তি জনগণ। বাংলাদেশের মানুষ। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ওই সব দুষ্কৃতকারী কয়েকজনের লাফালাফিতে এদেশের নির্বাচন কখনও বানচাল করতে পারবে না। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি, ওরা আসলে সিট পাবে না দেখে নির্বাচন করবে কি না সন্দেহ…। আর নির্বাচনে এলেও আসবে ওই নমিনেশন বাণিজ্য করার জন্য। নির্বাচনে জিততে পারবে না বলে তারা ইলেকশন চায় না- মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ওরা জানে যে নির্বাচন করলে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ ২০০৮ এর নির্বাচনে ৩০০ সিটের মধ্যে পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিটি। এখন তো ওদের অপকর্মের জন্য মানুষ ওদের প্রতি আরও বিমুখ। নির্বাচন কাকে নিয়ে করবে? নির্বাচন করলে ওদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? সে কারণে তারা ইলেকশন চায় না। ইলেকশন বন্ধ করে দিয়ে তারা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আর কোনো কোনো মহল থেকে তারা যথেষ্ট উসকানিও পায়। বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করা এবং মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নমিনেশন সেটা তো আমরা দেবো। আর আমি বসে থাকি না। প্রতি ছয় মাস পর পর আমার একটা হিসাব থাকে। কেউ যদি মনে করে এখন তো ওরা নেই, আমরা দাঁড়ালে আমরা জিতেই যাবো, আর একটা সিট না পেলে কী হবে, বাকি সিট তো পাবে, সরকার গঠন করবে। এই চিন্তা যেন কারও মাথায় না থাকে। কারণ এই চিন্তায় কিন্তু সর্বনাশ ডেকে আনবে। যে সিদ্ধান্ত দেবো তা মানতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে করে এই দেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে না পারে। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস। তাদের যে বিভৎস চেহারা। তারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে। একজন নিরীহ পুলিশ চাকরি করে, তার কী অপরাধ? এই একবারই নয়। তারা ২০১৩ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, আগুনে পোড়ানো, গাড়ি-ঘোড়া, স্কুল, অফিস আদালত, রেল, লঞ্চ কী বাদ দিয়েছে তারা? অগ্নিসংযোগ করে তারা সারা বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ যখন প্রতিরোধ করছে তখনই তারা থেমেছে। তিনি বলেন, যারাই এভাবে আগুন দেবে, জনগনের ওপর অত্যাচার করবে, গাড়ি-বাস-ট্রাকে আগুন দেবে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এখানে কারও ওপর নির্ভর করলে হবে না, জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ২০১৩ সালে যেভাবে শুরু করেছি। তখন যখন প্রতিরোধ শুরু হলো, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ৫২৫টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল, যেখানে ছিল নির্বাচন কেন্দ্র। তারপরও নির্বাচনটাকে তারা থামাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। তার বোন, ভাই, বোনের জামাই আমাদের কাছে এসেছে। আমার সঙ্গে, রেহানার সঙ্গে দেখা করেছে। কান্নাকাটি করেছে। আমি তার সাজাটা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার আর তার ইচ্ছেমতো চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, একবার ভেবে দেখেন তো, যে আমাকে বার বার হত্যা করার চেষ্টা করেছে, আমার বাবা, মা, ভাইদের হত্যা করেছে। ওই হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান ও ওই পরিবারটা দায়ী। ছেলে মারা গেছে, আমি গেলাম সহানুভূতি দেখাতে। আমার দরজা বন্ধ করে দিলো। তারপরও তার পরিবার কান্নাকাটি করে। একটা কুলাঙ্গার পয়দা করে গেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে অস্ত্র চোরাকারবারীর একটা স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল। হাতেনাতে ধরা, যে পুলিশ ধরেছে তাকে আবার শাস্তি দিয়েছে। এরা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। তিনি বলেন, বিএনপি ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে। কেন, বিএনপিতে আর কোনো নেতা ছিল না? যারা অন্তত লেখাপড়া সব দিক থেকে ভালো.. সেটা করতে পারেনি। মুচলেকা দিয়ে চলে যায়। শোনা যায় সেখানে গিয়ে জুয়া খেলে কোটি কোটি পাউন্ড কামাই করে। এটাই নাকি আর সোর্স অব ইনকাম। আর ওখানে বসে জ¦ালাও পোড়াও আর মানুষ খুনের নির্দেশ দেয়। পুলিশ হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কীভাবে মেরেছে? মাথার হেলমেটটা পর্যন্ত খুলে নিয়ে কোপালো। এরা কী মানুষ? এদের মধ্যে কী মনুষত্ববোধ আছে? এরা কীসের রাজনীতি করে? যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তারা কীসের রাজনীতি করে? কার জন্য রাজনীতি করে? দ্রব্যমূল্য নিয়ে নানাভাবে চক্রান্ত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব কিছুর উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাহলে কীসের অভাব হবে? এগুলোর পেছনে কারা আছে? মজুদ করে রেখে দেবে, কিন্তু বাজারে আনবে না। না এনে দাম বাড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে। এটাই তারা করে যাচ্ছে। এই ধরনের কারা মজুত করে? মালপত্র থাকা সত্ত্বেও বাজারে না এনে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করে এদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন এতটুকু কমেনি। সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে আমরা কিনে নিয়ে আসছি। কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌছাবে না কেন? ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্যালেস্টাইনে আজ কী হচ্ছে? হাসপাতালে বোমা মেরেছে। আর এখানে কী দেখলাম এই বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে আগুন দেয়, অ্যাম্বুলেন্স পোড়ায়। ভাঙচুর করে। এরা কোথা থেকে কী শিক্ষা পাচ্ছে, সেটাই আমাদের প্রশ্ন। ফিলিস্তিনে জনগনের ওপর যখন অত্যাচার, আমরা তাদের পেছনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এদের (বিএনপি) মুখে একটাও কথা নেই। তারা কি একটাও প্রতিবাদ করেছে? করেনি। তাহলে কাদের তাঁবেদারি করে? কাদের পদলেহন করে লাফালাফি করে সেটাই প্রশ্ন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ে অনেক দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণই অস্ত্র হাতে তুলে স্বাধীন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণই সব ক্ষমতা রাখে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, দেশ ভালো থাকলে ওদের মনে জ¦ালা হয়। এদের যন্ত্রণা হয়। মানুষের স্বস্তিতে থাকাটা ওদের পছন্দ নয়। মানুষের জীবন নিয়ে ওরা ছিনিমিনি খেলে। যে কারণে এর এই জ¦ালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ করে বেড়াচ্ছে। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দিন আহমেদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com