বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় জেলা হিসেবে সাতক্ষীরার নামটি বারবার আলোচিত হয়ে থাকে। বর্তমান দেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতা, পরিস্থিতি এবং সামগ্রীক বিষয়াবলী পর্যালোচনা করলে বিশেষ ভাবে বিবেচ্য সাতক্ষীরা অন্যতম অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। দেশের অর্থনীতিতে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নে সাতক্ষীরার নাম বারবার আলোচিত। আমাদের দেশ সা¤প্রতিক বছর গুলোতে অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান বিশ্ববাসির বিস্ময়ে পরিনত হয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিষয়টি আলোচিত। বিশ্ব সভায় আমাদের দেশ যখন আলোচিত, আলোকিত সেই সময় গুলোতে সাতক্ষীরার নাম বিশেষ ভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। দেশের মধ্যকার সাতক্ষীরা এমন এক জেলা যে জেলা প্রতিবছর চিংড়ী রপ্তানী পরবর্তি কোটি কোটি টাকার যে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের গর্বিত অংশিদার। আমাদের দেশে উৎপাদিত চিংড়ীর সিংহভাগ উৎপাদন হয় সাতক্ষীরা জেলাতে। এই জেলা দৃশ্যত অর্থনীতির উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সা¤প্রতিক ভাবে বলা চলে সাতক্ষীরার অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম চালিকা শক্তি। আমাদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্র যথাযথ ভাবে সমাদৃত, অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময় গুলোতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মোখ্যম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা উৎপাদন, উপার্জনে, বাণিজ্যে, রপ্তানী বাণিজ্যে সর্বপরি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এমন ভাবে নিজেকে স¤প্রসারিত ও সম্পৃক্ত করেছে যা বিশ্ব ব্যবস্থায় তথা আন্তর্জাকি বিশ্বে দেশের সীমানা পেরিয়ে সাতক্ষীরার নাম বারবার এবং ব্যাপক ভাবে আলোচিত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে সাতক্ষীরা শুধুমাত্র চিংড়ী শিল্পকে বেছে নিয়েছে তা নয়, বহুবিধ কৃষি উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী যা সাতক্ষীরায় উৎপন্ন হয় তা বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করে চলেছে। সাতক্ষীরার অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জনের ক্ষেত্রে ও কাঙ্খিত ভূমিকা রেখে চলেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর, সুন্দরবন দেশের রাজস্ব উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে অনেক আগেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।