শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অর্ধডজনেরও বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে না

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

এফএনএস : দেশে কর্মরত অর্ধডজনেরও বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রণীত গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে না। অথচ ইউজিসি কয়েক বছর আগেই স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সমন্বিত গ্রেডিং পদ্ধতি প্রণয়ন করে তা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইউজিসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ); ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি; আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ; ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি; ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)। ইউজিসি অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণের বিষয়ে সম্প্রতি বেসরকারি ওই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজিস্ট্রারদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বারবার তাগিদ দেয়া সত্তে¡ও কমিশন প্রণীত অভিন্ন গ্রেডিং নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে না। তাতে করে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা, কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ২৪(৩) এবং ৩৫(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রোগ্রাম ও কোর্স অনুমোদনের অন্যতম শর্ত হলো কমিশন অনুমোদিত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি যথাযথ অনুসরণ, কিন্তু ওই নীতিমালা অনুসরণ না করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় নৈরাজ্য সৃষ্টির শামিল। এ অবস্থায় আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অভিন্ন গ্রেডিং নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় চিঠিতে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ইউজিসির গ্রেডিং সিস্টেম অনুযায়ী ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেলে ‘এ+ (প্লাস)’ গ্রেড বা ৪ পয়েন্ট দেয়া হবে। ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের কম হলে দেয়া হবে ‘এ’ গ্রেড বা ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের কম হলে ‘এ- (মাইনাস)’ গ্রেড বা ৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট দেয়া হবে। একইভাবে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশের কম নম্বর পেলে ‘বি+(প্লাস)’ গ্রেড বা ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশের কম হলে ‘বি’ গ্রেড বা ৩ পয়েন্ট ও ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশের কম হলে ‘বি- (মাইনাস)’ গ্রেড বা ২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট দেয়া হবে। তাছাড়া ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেলে ‘সি+ (প্লাস)’ বা ২ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ৪৫ থেকে ৫০ নম্বরের কম হলে ‘সি’ ও ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশের কম নম্বর হলে ‘ডি’ গ্রেড বা ২ পয়েন্ট দেয়া হবে। আর ৪০ শতাংশের কম নম্বর পেলে ‘এফ’ গ্রেড, যা অনুত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এদিকে ইউজিসির গ্রেডিং অনুসরণ না করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মতে, উন্নত বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্বতন্ত্র গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। ইউজিসি থেকে গ্রেডিং বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে ১ জানুয়ারি থেকে অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। অথচ বিশ্বব্যাপীই উচ্চশিক্ষা বৈচিত্র্যময়। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আরেকটির গ্রেডিংয়ের কোনো মিল নেই। সবাই নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী মূল্যায়নের মানদণ্ড ঠিক করে নেয়। হার্ভার্ডের সঙ্গে কেমব্রিজ কিংবা অক্সফোর্ডের কোনো মিল পাওয়া যাবে না। এমনকি একটি দেশের মধ্যেই নানা ধরনের গ্রেডিং অনুসরণ করা হচ্ছে। এখন কমিশন চাচ্ছে একই গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হোক। তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে তার মাধ্যমে তো শিক্ষার মানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। কারণ সিলেবাস, শিক্ষক, প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষা সবই তো ভিন্ন।’ অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন একই গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় সেজন্য কমিশন ইউনিফর্ম গ্রেডিং সিস্টেম প্রণয়ন করে দিয়েছে। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সিংহভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তা অনুসরণ করছে। যদিও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তাদের মতো করে গ্রেডিং দিচ্ছে। একদিকে তারা আইন অমান্য করছে, অন্যদিকে উচ্চশিক্ষায় তা এক ধরনের বিশৃঙ্খলার শামিল। সেজন্য আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোকে কমিশন প্রণীত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com