বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আজ ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর আজ বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। এদিন দুপুরে দিলি­ থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। ঢাকা সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে ঢাকায় আসছেন এস জয়শঙ্কর। আগামী জুনের মাঝামাঝি শেখ হাসিনা ভারত যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন প্রত্যাশা করছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নিশ্চয় কোনো সুখবর নিয়ে আসবেন। এদিকে গতকাল বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এস জয়শঙ্কর আগামী ২৮-৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ ও ভুটান সফর করবেন। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে উভয় দেশের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনে দ্বিপাক্ষিক উচ্চ-পর্যায়ের এবং বিনিময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যেতে পারে। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করেন। এর ফিরতি সফর হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্ব দিলি­ যাবেন সেটাই স্বাভাবিক। সেই সফরের আমন্ত্রণ বার্তা জয়শঙ্কর হয়তো নিয়ে আসছেন বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া গত ২২ ফেব্র“য়ারি প্যারিসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরামের সাইডলাইনে বৈঠক করেন এস জয়শঙ্কর। তখনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিলি­ যাবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আমন্ত্রণের পাশাপাশি ভ‚-রাজনৈতিক আলোচনা গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই মন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবারের আলোচনাটি আনুষ্ঠানিক হবে না এবং এটি ড্রইংরুম অ্যারেঞ্জমেন্ট, অর্থাৎ সোফায় বসে বৈঠক হবে। কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অমীমাংসিত বিষয় এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে সবসময় আলোচনা হয়। এরমধ্যে পানি, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো রয়েছে। ‘এবারের ভ‚-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন’, জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয়, শ্রীলঙ্কায় অস্থিরতাসহ অনেককিছু হচ্ছেÑ যা ভারতের মতো বড় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে একই ধরনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করতেই পারে। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন এবং রহিমপুর খাল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এ বিষয়টিও এবারে আলোচিত হবে। এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত লাগোয়া রহিমপুর খাল হলে বাংলাদেশের পাঁচ হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু প্রকল্পটি ভারতের আপত্তির কারণে আটকে আছে। তিস্তা পানির নদী বণ্টন, অন্যান্য আরও ৬ নদীর পানি বণ্টনের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানির ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করেছে ভারত। এটি তুলে নেওয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, এটি আটকে আছে। বিষয়টি আমরা আবারও তুলবো, যাতে করে দ্রুত এটি প্রত্যাহার করা হয়। বাংলাদেশের রপ্তানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আগের যেকোনও সময়ে থেকে বেশি। এছাড়া ‘ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড রোড কানেক্টিভিটি’ প্রকল্পে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, কানেক্টিভিটি যত বাড়বে, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্যও কানেক্টিভিটি প্রয়োজন। সেটির জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com