এফএনএস: চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহের শেষ সময় আগামী ২৮ ফেব্র“য়ারি। মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও ধানের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার ২৪ শতাংশ কিনতে পেরেছে সরকার। তবে চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ শতাংশ পূরণ হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি আমন মৌসুমে সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে পাঁচ লাখ টন সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত ৩১ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরও দুই লাখ ২০ হাজার টন বাড়ানো হয়। গত ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল কেনা শুরু হয়েছিল। খাদ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্র“য়ারির আমন সংগ্রহের তথ্য থেকে জানা গেছে, ওই সময় পর্যন্ত তিন লাখ টনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৭৬৩ টন ধান কেনা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে সাত লাখ ২০ টনের বিপরীতে চাল কেনা হয়েছে ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৪৮২ টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ শতাংশ। ফলে এবারও সরকারের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে গতকাল শনিবার খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর বলেন, ধান সংগ্রহের লক্ষ্য হচ্ছে, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। কৃষক বাজারে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন বিধায় আমরা স্বস্তিবোধ করছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারের মূল্য তাদের জন্য সহায়ক। তাই সরকারের ধান কেনার উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের ধান কেনার কার্যক্রমে ধীরগতি। এটা নিয়ে আমরা স্বস্তিতে আছি। তিনি বলেন, কৃষক ধানে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। আমরা বাজারে না থাকলে কৃষক ন্যায্যমূল্য নাও পেতে পারতেন। যে ধান আমরা কিনছি, বাজারে এর দাম এক হাজার ১০০ টাকার (প্রতি মণ) নিচে নেই। আমাদের নির্ধারণ দাম এক হাজার ৮০ টাকা। পরিচালক আরও বলেন, চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমরা টার্গেটের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের টার্গেট ছিল পাঁচ লাখ টন। পরে দুই লাখ ২০ হাজার টন বাড়ানো হয়। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ সাড়ে ছয় লাখ টনের মতো। আশা করছি, বাকি সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।