বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আমরণ অনশনে অসুস্থ ১৪ কারিগরি শিক্ষক

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

এফএনএস: বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা কারিগরি শিক্ষকদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অনশনের তৃতীয় দিনে তারা অসুস্থ হন। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের অনশন স্থলে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। শিক্ষকরা জানান, ৭৭৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ২০ জন অনশন করছেন। বাকিরা পালন করছেন অবস্থান কর্মসূচি। যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে অন্য শিক্ষকরাও পর্যায়ক্রমে অনশনে অংশ নেবেন। আমরণ অনশনের তৃতীয় দিন চলছিল বৃহস্পতিবার। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সঞ্জয় সরকার বলেন, আমরা মঙ্গলবার থেকে অনশনে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের ১৪ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের মধ্যে সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাকিরা সাধারণ শিক্ষক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। শিক্ষকদের এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজকে আমাদের সন্তানরা তাদের ন্যায্য দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শহীদ মিনারে না খেয়ে অনশন করছেন। সরকারের প্রতি আমার আহবান থাকবে যে, আপনারা তাদের দাবি মেনে নিন। দেশের সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক স্বল্পতা দূর করতে ২০১০ সালের জুলাইয়ে ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ)’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি শেষ হয় ২০১৯ সালের ৩০ জুন। প্রকল্পের আওতায় ২০১২ ও ২০১৪ সালে মোট এক হাজার ১৫ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৭৭৭ জন শিক্ষক। ২০১৯ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এসব শিক্ষকদের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় তাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য পাঠদান অব্যাহত রাখতে প্রকল্পের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রকল্প শেষে এক বছর তাদের বেতনও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের জুলাই থেকে তা বন্ধ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com