শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

আম্পান ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ কয়রা বেদকাশির বেঁড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ এখন দৃশ্যমান

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২ মার্চ, ২০২২

শাহজাহান সিরাজ, কয়রা থেকে ঃ ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ কয়রায় বেদকাশির কপোতাক্ষ নদীর বেঁড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ শেষে দৃশ্যমান হওয়ায় এলাকাবাসি অনেকটা স্বস্থির নিশ^াস ফেলতে শুরু করেছে। উলে­খ্য ২০২০ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং ২০২১ সালের ২১ মে ইয়াসে উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদীর বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় দেদকাশি ও কয়রা সদর ইউনিয়নের ২০ টি গ্রামের সহস্রাধীক ঘরবাড়ী সহ রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির। ভেসে যায় কয়েক শতাধিক ছোট বড় চিংড়ীঘের ও জলমহল এবং কয়েক মাসের মধ্যে কাশিরহাট খোলার ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় লবন পানির জোয়ার ভাটার কারনে কয়েকটি গ্রাম মরুভুমিতে পরিণত হয়। সূত্র জানায়, ২০২১ সালের শুরুতেই সেনাবাহিনীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২২ কোটি টাকার টেন্ডার পেয়ে কাশির হাট খোলার ক্লোজারসহ গাববুনিয়া পর্যন্ত সোয়া দুই কিলোমিটার বেঁড়িাবাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করে। স্থানীয়দের মতে অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ উক্ত বাঁধ নির্মাণ কাজে বিলম্ব হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্তাবধায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মানসম্মত কাজ করায় বসবসের জন্য ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে এই এলাকা। এদিকে দীর্ঘদিন লবণ পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ বেদকাশি, গাজী পাড়া, গাববুনিয়া, হাজতখালী, কাটকাটা, কাটমারচর, ২ নং কয়রা গ্রামের মানুষ এবং এসব এলাকার রাস্তাঘাট বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোন সামুদ্রিক জলোচ্ছাস না হলে বর্তমান দৃশ্যমান বেঁড়িবাঁধ অনেকটা রক্ষা করবে বলে এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, পাউবোর ১৩-১৪/২ নং পোল্ডারের শুণ্য থেকে আড়াই কিলোমিটার অথ্যাৎ গাববুনিয়া থেকে কাশিরহাট খোলা কপোতাক্ষ নদীর বেঁড়িবাঁধ বেশি ঝুকিপূর্ণ। যে কারনে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করায় এই এলাকা অনেকটা ঝুকিমুক্ত। তিনি বলেন, অনুরুপ দক্ষিণ বেদকাশি, কয়রা ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ কিছু এলাকায় বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যহত আছে। কয়রা পাইকগাছার জাতীয় সংসদ সদস্য সম্প্রতি কয়রা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিককে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে তিনি টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মানের জন্য যে অর্থ বরাদ্ধ পেয়েছেনতার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। তিনি বলেন, আম্পান ইয়াস পরবর্তী মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রী স্প্রিড বোর্ডে কয়রা উপজেলার কিছু কিছু ক্সতিগ্রস্থ বেঁড়িবাঁধ সরোজমিনে দেখে সাড়ে তিন শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েিেছলেন সেইন অর্থের কার্যক্রম এখন চলমান। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অর্থের কাজ শুরু হলে কযরা বেঁড়িবাঁধ দৃশ্যমান হবে যাহা এ অঞ্চলের মানুষ কখনও ভাবতেও পারিনি। তিনি দ্রুত উলে­খিত বরাদ্ধকৃত অর্থের কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের নিকট ঘনঘন খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com