এমএম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে মরা শিশু গাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ। এসব গাছেল একটা বড় আশেপাশে রয়েছে পলী বিদ্যুৎ এর হাই ভোল্টেজ তার। এগুলো দ্বারা যে কোন মুহুর্তে পথচারী ও গাছের আশেপাশে বসবাসকারীরা দূর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখাগেছে, বুধহাটা টু চাম্পাফুল (কালিবাড়ী) সড়ক, কুল্যা টু দরগাহপুর সড়ক, আশাশুনি টু বড়দল সড়কসহ একাধিক সড়কের দু’পাশে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে ছোট বড় মরা শিশু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। সামান্য বাতাস বা ঝড় বৃষ্টিতেই এসব মরা গাছের ডালপালা ভেঙে পড়বে রাস্তার উপর। ইতিপূর্বে মরা গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে ঘটেছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। আর এসব গাছের ডাল কারেন্টের তারে পড়ার আশঙ্কা তো আছেই। এ ধরনের বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে দিনরাত ব্যাস্ততম এসব সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারনকে যাতায়াত করতে হয়। তবে এ মরা গাছগুলো দ্বারা সড়কের দু’পাশের বসতবাড়িসহ বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা বিদ্যামান। ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি হলে সম্পূর্ণ গাছ ভেঙে পড়ার সম্ভবনাও রয়েছে। সৌন্দর্য্য বর্ধন এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য লাগানো গাছগুলো এখন যেন জনসাধারণের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। এ মরা গাছগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে দিলে একদিকে সরকার রাজস্ব পাবে। অপরদিকে জনসাধারন দূর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবে। তাই দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে এসব মরা গাছ দ্বারা চলমান দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ হ্রাসে এসকল গাছ অবিলম্বে কর্তনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বন বিভাগের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলে জানাগেছে, মরা গাছগুলোর কারণে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি ও দুর্ভোগের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীরা আমাদেরকে জানান। মূলত গাছগুলি অপসারণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।