আন্তর্জাতিক বিশ্বে বর্তমান সময়ে আলোচিত বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম ইউক্রেন। বিশ্বের বিশেষ পারমানবিক শক্তির অধিকারী রাশিয়া গত এক মাসের অধিক সময় পূর্বে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত উক্ত অভিযান আর সামরিক হামলা অব্যাহত আছে। বিশ্ব ব্যবস্থায় রাশিয়া সামরিক শাক্তির দিক দিয়ে অনন্য উচ্চতায়। বিশ্ব পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইউক্রেন দীর্ঘ সময় যাবৎ রাশিয়ার হামলাকে অতি দক্ষতা আর সময়পোযোগীতার সাথে মোকাবিলা করে চলেছে। এখানেই শেষ নয়, রাশিয়ার সামরিক শক্তির প্রতিক হিসেবে বিবেচনা করা দেশটির নৌ বাহিনীর বৃহত্তম জাহাজে ইউক্রেন সেনারা হামলা পরিচালনা করে ক্ষতি সাধন করে এবং সবশেষ রাশিয়ার জাহাজটি কৃষ্ণসাগরে ডুবে যায়। রাশিয়ার রনতরি ডুবে যাওয়ার পর থেকে দৃশ্যতঃ রাশিয়া ইউক্রেন তাদের হামলা জোরদার করেছে। গত কয়েকদিন যাবৎ ইউক্রেনের অভ্যন্তর ভাগে হামলা বৃদ্ধি করেছে। গতকাল সহ দুই তিন দিন যাবৎ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ান বাহিনী ব্যাপক ভাবে হামলা শুরু করেছে। গতকাল হামলার তীব্রতা বৃদ্ধির পূর্বে রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল শান্তি আলোচনায় মিলিত হয়। সেই থেকে রাশিয়ার পক্ষ হতে হামলার তীব্রতা কিছুটা হ্যাস করলেও কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌতরী ডুবে যাওয়ার পর থেকে দৃশ্যতঃ রাশিয়া ব্যাপক ভাবে হামলা পরিচালনা করছে। গত কয়েকদিন যাবৎ আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে জানা গেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন হুমকি প্রদর্শন করে বলেছে যে আগামী দিন গুলোতে প্রয়োজনে পারমানবিক বোমার ব্যবহার ঘটানো হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ গুলোর প্রতি পুতিন তার যুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলে তাদের জন্য আগামী দিন গুলোতে কঠিন এবং কঠোর পরিনতি অপেক্ষা করছে। শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধের গতি প্রকৃতি কোন দিকে যায় এবং কতটুকু বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তা সময়ই বলবে।