দেবহাটা অফিস \ বাংলাদেশ ভারত বিভক্তকরন সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা ভাঙ্গন কবলিত। সদর উপজেলার হাওড়দাহ, দেবহাটা উপজেলার উপজেলা সদর, শিবনগর, সুশিলগাতি, টাউনশ্রীপুর, ভাতশালা, কোমরপুর, চরশ্রীপুর, বসন্তপুর, কালিগঞ্জ উপজেলার খানজিয়া এলাকা প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের মুখে। সর্বাপেক্ষা ভাঙ্গন কবলিত দেবহাটার ভাতশালা, কোমরপুর ও নাংলা এলাকা ভাতশালা ও কোমরপুর প্রতিনিয়ত ভাংছে তো ভাংছেই। সীমান্তপারের জন সাধারন আতঙ্কের মধ্যে। ইতিহাস খ্যাত কোমরপুর গ্রামের সরকারি খাদ্য গুদাম ইছামতি ভক্ষন করেছে। বাগদাদী পীরের মাজার মসজিদ হুমকির সম্মুখিন। ইতিপূর্বে কোমরপুর গ্রাম রক্ষাকল্পে বিকল্প ভেড়িবাধ নির্মানের মাধ্যমে গ্রামটি রক্ষা করার চেষ্টা চলছে। তবুও ভাঙ্গন থেমে নেই। একই ভাবে ভাতশালা গ্রাম ভাঙ্গছেই। ভাতশালা রক্ষা বাধ অনেক আগেই ধ্বংস প্রাপ্ত হলে বিকল্প বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে ভাতশালা গ্রাম রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইছামতির রাক্ষুসে পানির আগ্রাসী ছোবলের কাছে বারবার পরাস্থ হয়েছে সীমান্ত পারের জীবনযাত্রা, নদী ভাঙ্গনের প্রবাহ যেমন থেমে নেই অনুুরুপ ভাবে ইছামতি নদী হতে চলছে বালু উত্তোলন। অনেকের মতে বালু উত্তোলনের কারনে স্রোত সরাসরি নদীর কিনারে অর্থাৎ ভেড়িবাঁধে আঘাত করে। সা¤প্রতিক সময়ের ঘুর্ণিঝড় মোখার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড কোমরপুর রক্ষাবাঁধে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যে কারনে নদীর ভয়ালস্রোত ভেড়িবাঁধে জোরালো আঘাত করতে পারেনি, কিন্তু উক্ত রক্ষাকবচ পানি উন্নয়ন বোর্ড সরিয়ে নেওয়ায় ভাঙ্গন আতঙ্ক ও সম্ভাবনা বিরাজ করছে। দেবহাটা সীমান্তপারের গ্রাম গুলোকে ইছামতির ভাঙ্গন হতে রক্ষা করতে টেকসই ও পরিকল্পিত ভাবে ভেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মান জরুরী। গতানুগতিক এবং অনিয়ম ও দুর্নিতিমুক্ত ভেড়িবাঁধ নির্মান ও সংস্কারই শেষ কথা। ফসলি জমি, বসতবাড়ী শষ্যক্ষেত, সরকারি স্থাপনা, সর্বপরি জনপদ রক্ষায় ইছামতির ভাঙ্গন রক্ষা অপরিহার্য। ভাঙ্গন কবলিত দেবহাটা দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেবহাটাকে ইছামতির ভাঙ্গন হতে রক্ষা করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমন প্রত্যাশা সীমান্ত পারের অধিবাসিদের।