শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

এসএসসির পরীক্ষার ফল হতে পারে ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

এফএনএস: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব নভেম্বরের শুরুতে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়কারী বোর্ড থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে নির্ধারিত দিনে ফল প্রকাশ করা হবে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ১ অক্টোবর উচ্চতর গণিত (তত্ত¡ীয়) পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়। ১০ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। বর্তমানে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। সূত্র জানিয়েছে, অনেক পরীক্ষক এরইমধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে শুরু করেছেন। কোথাও আবার শেষ ধাপে মূল্যায়ন যাচাই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, এসএসসির উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি তা শেষ হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের জন্য ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর অথবা ১ ডিসেম্বর সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রস্তাব যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সম্মতি দেবেন সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডসহ ১১টি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন। সারাদেশে ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা। প্রতি বছর সাধারণত ফেব্রæয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা হয়। কিন্তু এ বছর প্রথমে করোনার কারণে এবং পরে সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা পেছানো হয়। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ক্লাস পাননি। ফলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য ঐচ্ছিক তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। সেগুলো হলো- তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ধর্ম এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। ক্লাস শিক্ষকরা এ তিন বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করে দেবেন। এদিকে দীর্ঘ ছয় মাস পিছিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ বছর সারাদেশে ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এরই মধ্যে পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব এড়াতে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা আয়োজনে আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com