কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ ঋতুরাজ বসন্তের আগমন আগুনঝরা ফাগুন, ঝরা পাতার মড়মড় শব্দ আর নতুন কচি পাতা গজানো, শিমুল পলাশে রাঙ্গানো বসন্তে শুরু হয়েছে প্রকৃতির পালাবদল, প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে, গাছে গাছে নতুন পাতার ফাঁকে উঁকি মারছে সোনালী আমের মুকুল আর মাতাল হাওয়ায় বাতাসে সুবাস ছড়াচ্ছে মৌ মৌ গন্ধ, শুরু হয়েছে ফুলে ফুলে মধু সংগ্রহে মৌ মাছিদেরও ছোটাছুটি। একই সঙ্গে বেড়েছে আমচাষিদের ব্যস্ততা। ধান উৎপাদনের অন্যতম এ উপজেলায় এবার বেড়েছে আমের চাষ, দিনভর আম গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। গত কয়েক বছর ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় আমচাষ হচ্ছে। ধান উৎপাদন এখানকার প্রধান ফসল হলেও এই উপজেলাতে ক্রমেই বাড়ছে আমের চাষ, এ জনপদের আম খুব সুস্বাদু। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত বছর ভালই আমের চাষ হয়েছিল এবং এখানকার আম ইউরোপে পাঠানো হয়েছিল। সেই আম দেশের জন্য সুখ্যাতি বয়ে এনেছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মাসেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটে যাবে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা। এখানকার মাটির গুণেই হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, আ¤্রপালি, বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। স্বাদের দিক থেকে কলারোয়ার আম এক নম্বর। আম সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বাইরেও আমের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের আমচাষি হাজী আ: গফুর সানা জানান তিনি ২ বিঘা জমিতে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ জাতের আমের বাগান করেছেন সব গাছে মুকুল আসতে পারে বলে মনে করছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ মতে গাছের পরিচর্যা করছেন। মুকুল আসা শুরু হয়েছে তিনি এবছর লাভের আশায় ভালোভাবে গাছের পরিচর্যা করছেন বলে জানান।