শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

কলারোয়া মডেল মসজিদটি উদ্বোধনের ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়া মডেল মসজিদ উদ্বোধন হওয়ার ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। দূর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় মুছাল্লিরা। গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ষ্ট ধাপে এ মসজিদসহ সারাদেশে ৫০টি মসজিদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত মসজিদের কাজ চলমান। স্থানীয়দের দাবি ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে করছেন মডেল মসজিদের কাজ। তারা আরো বলেন প্রথম চুক্তি পত্র অনুযায়ী মসজিদ হস্তান্তরের মেয়াদ ১৮ মাসের বেশি সময় শেষ হলেও এখনও মসজিদ চালু হয়নি। এখনও মসজিদের ভবনের কাজ চলছে ধীর গতিতে। ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই হয়েছিল উদ্বোধন। উদ্বোধনের ৭ মাস হয়ে গেলেও এখনো অনেক কাজ বাকি। জানা গেছে,উপজেলা মসজিদের ২০১৯ সালে মে মাসে কলারোয়া উপজেলা ক্যাম্পাসের পুরাতন উপজেলা পরিষদ এলাকায় ৩৫ শতক জমির ওপর মডেল মসজিদ নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজ পায় যশোরের মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ। প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ১২ কোটি ৪৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৭৬ টাকা, বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ৮৮ হাজার ৫৬০ টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩-এর আগস্ট মাসে। গণপূর্ত বিভাগ সাতক্ষীরা বলছে, কিছু পুরাতন ভবন অপসারন করতে একটু সময় বেশি লেগেছে। তবে সব প্রতিবন্ধকতার সমাধান করে অচিরেই নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। কিন্তু শেষ হয়নি ভবনের কাজ। অথচ নির্মাণকাজ শেষ না করেই ৩০শে অক্টোবর ২০২৩-এ তড়িঘড়ি করেই করা হলো উদ্বোধন। সরেজমিনে দেখা যায়, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রথম ধাপে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল এ মসজিদটি। কিন্তু ৬ষ্ট ধাপে ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদের সঙ্গে উদ্বোধন হয় এটির। মসজিদের ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের কোন কাজ-ই শেষ হয়নি। পারভেজ নামে এক শ্রমিক আছেন দায়িত্বে । তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এ কাজের ঠিকাদার থাকেন যশোরে। দায়িতপ্রাপ্ত ম্যানেজারও আসেননি। কখন আসবেন জানেন না। নির্মাণ শ্রমিকদের দিয়েই চলছে দেখভালের কাজ। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাজ বাকি রেখেই উদ্বোধন করা হয় এ মসজিদের। নির্মাণের কাজে এত সময় লাগা খুবই দুঃখজনক। আরও কয় মাস লাগে আল্লাহ ভালো জানেন। ঠিকাদার আাজিুজুর রহমান বলেন, আমার ৫ কোটি টাকার মত বিল বকেয়া আছে। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত বিলটা পেলে কাজ শেষ করব। বিল না পওয়ায় মসজিদের কাজ এজন্য একটু সময় লাগছে। আশা করি আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেব। মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন অভিযোগ আছে, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রী গণপূর্ত ভবনের পরীক্ষা করার পর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com