চম্পাফুল (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি \ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাম্পাফুল ইউনিয়নের বালাপোতায় অবস্থিত বাবা তারকনাথ ধামে উৎসব মুখর পরিবেশে হাজার হাজার সন্নাসি ও ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে ৪৩ তম শিবলীলা মহোৎসব চলছে। বাবা তারকনাথ ধাম মন্দির কমিটির আয়োজনে অশুভ শক্তির সংহার, সত্য সুন্দর শিব বন্দনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্নাসিদের আগমনে এক মহা মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। তারকনাথ ধাম মন্দির কমিটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শ্রীশ্রী ডাকাতি কালিমাতা মন্দির, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী মন্দির, রাধাঁগোবিন্দ মন্দির, শ্রীশ্রী গঙ্গা মায়ের মন্দির প্রাঙ্গণে ৫ দিনব্যাপি শিবলীলা মহোৎসব অনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে আজ থেকে। “একবার বাবার নাম করে যেই জন,সর্ব পাপ মুক্ত হয় ব্যাসের বচন” ধর্মীয় এই শ্লোক সামনে রেখে অলৌকিকভাবে পরম করুনাময় শ্রীশ্রী বাবা তারকনাথের আর্বির্ভাব ঘটেছিল এই বালাপোতায়। বাংলা বর্ষ পরিক্রমায় সর্বশেষে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছর চৈত্র মাসের শেষ দিকে শিবলীলা উৎসবে সন্ন্যাসি ও ভক্তদের আগমন শুরু হয় এখানে। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত অবধি হাজার হাজার সনাতন ধর্মালম্বি ব্যক্তিরা পুণ্যের আশায় উপস্থিত হয় এই ধামে। এবছর অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে থাকবে আজ মঙ্গলবার শুরু হবে শ্রীশ্রী ডাকাতি কালীপুজা, এখানে থাকবে অন্নভোগ, মহা হবিষ্য, কাঁটা ঝাপ, লীলাবতির বিবাহ ও সন্ধ্যায় নীলবাতি দান, ছাতু ভোগ। এদিকে শিবলীলা মহোৎসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন উপলক্ষে মন্দিরের সামনে বসেছে বিশাল মেলা। আর এই মেলায় সকল ধর্মের মানুষের আগমনে মিলন মেলাটি মহা-মিলন মেলায় পরিণত হবে। বালাপোতা বাবা তারকনাথ ধাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রভাষক দিলীপ কুমার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সুব্রত সরকার এ প্রতিনিধিকে জানান, এবছরও ধামে বাবার মাথায় জল দেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক সন্ন্যাসি ও ভক্তবৃন্দ এসেছে এখানে। সামনের দিন গুলোতে ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটবে আশা করছি। প্রতি বছর শ্রাবনের শেষ সোমবার বাবার অবির্ভাব তিথি ও ফাল্গুনে শিব চতুর্দ্দশী উৎসব পালন করা হয় এই ধামে। বাংলাদেশের মধ্যে কালিগঞ্জের বালাপোতা ও ভারতের তারকেরস্বর বাবা তারকনাথ ধামে দুর দুরান্ত থেকে আশা তারকনাথ ভক্তরা লম্বা লাইনে বহু প্রতিক্ষার পর তাদের মনের বাসনা পুরনের আশায় বাবার মাথায় জল ঢালে।