রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার আদালতকে বিকেন্দ্রীকরণে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সারা দেশে যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সমালোচনা করবো কিন্তু ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবো না: রিজভী রোহিঙ্গা সংকটে অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই: সেনাপ্রধান গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ন্যারেটিভ তৈরি করতে মিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে: প্রেস সচিব সুনামগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত কৃষিঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

কালিগঞ্জে বৃদ্ধা মাকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

কালিগঞ্জ ও মথুরেশপুর প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জে অর্থ ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধা আলহাজ্ব আম্বিয়া খাতুনের (৭০) হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে নিহতের বড় ছেলে আইরিছুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের ছনকা গ্রামে বৃদ্ধার ছোট ছেলের বাড়িতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা ছনকা গ্রামের মৃত আলহাজ্ব ডাঃ শেখ আনছার আলীর স্ত্রী। মামলা সূত্রে ও সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, নিহত আম্বিয়া খাতুনের স্বামী সরকারি ডাঃ হিসেবে চাকুরী করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের নামে পেনশনের টাকা ও সম্পত্তি রেখে যান তিনি। মায়ের অর্থ সম্পদ নিয়ে ছেলে আইরিছুজ্জামান, শরিফুজ্জামান এবং চার মেয়েদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ইতিমধ্যে ছেলেরা বিভিন্ন সময় তার মাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। গত ১ সপ্তাহ যাবৎ নিহত আম্বিয়া খাতুন মেয়ের বাড়িতে অবস্থানের পর শুক্রবার সকালে ছোট ছেলে শরিফুজ্জামানের বাড়িতে আসেন। শনিবার ভোরে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখেন তারা। এ সময় তারা পুলিশকে খবর দেওয়ার কথা জানালে ছেলেরা অস্বীকৃতি জানায়। এতে গ্রামবাসিদের ধারণা পরিকল্পিতভাবে ছেলেরা তার মাকে হত্যার পর ডাকাতির নাটক সাজিয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তদন্তে প্রকৃত হত্যার আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে মনে করছেন তারা। নিহতের ছোট ছেলে শেখ শরিফুজ্জামান শিমুল (৪৫) জানান, তার মা আম্বিয়া খাতুন রাতে দুই তলায় একটি রুমে একা ঘুমাতেন। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি রাতের খাবার খেয়ে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমাতে যান। তিনি এবং তার পরিবারকে নিয়ে রাতে নীচ তলায় ঘুমান। সেহরী খাওয়ার সময় তার মেয়েকে দিয়ে মাকে ডাকতে পাঠালে উত্তর না দিয়ে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা দেখতে পায় মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আর রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com