কৈখালী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি:- সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী যাত্রী ছাউনি হতে মোর্শেদ গাজীর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটি একসময় ছিল কৈখালী ইউনিয়নের প্রধান রাস্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই রাস্তা দিয়েই কৈখালী ইউনিয়ন এর হাজার হাজার লোক ভেটখালিতে বাজার করতে যেত। শ্যামনগর,থেকে জেলা শহরে যাওয়ার দরকার হতো এ রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হতো। তখন ছিল খেয়া নৌকায় পারাপারের। মাদার নদীর উপর ব্রিজ হওয়ার পরে এই রাস্তাটিকে বাদ দিয়ে প্রধান সংযোগ সড়কটি ঘুরিয়ে দেয়া হয় পুরানো রাস্তার ইট গুলো তুলে সেই সময়ের ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায় ।গত ১৫ বছরেও এই রাস্তায় আর ইট বসানো হয়নি। এর মাঝে কয়েকজন চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি সেভাবেই রয়েগেছে। অথচ এই রাস্তা দিয়ে জয়াখালী পূর্ব পারার সকল জনগণ ভেটখালী বাজারে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করে থাকে। জয়াখালি বাইতুর রহমান জামে মসজিদে যাতয়াতের অন্যতম একটি রাস্তা এটি । বর্ষাকালে অনেক মানুষের এই রাস্তার দুরাবস্থার জন্য মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারেন না। বহুদিন রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে রাস্তার দুইপাশে ঝোপঝাড়, কাটা গুল্ম এবং বিষধর সাপ ও কীটপতঙ্গ বাসা বেধেছে। এই রাস্তাটির বাজে অবস্থার জন্য প্রায় আধা কিলোমিটার ঘুরে মসজিদে অথবা বাজারে যেতে হয় জয়াখালীবাসীর। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এই রাস্তাটি যুগের পর যুগ অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। পাশাপাশি সরকার কর্তৃক খাল খননের ফলে জজ সাহেবের বাড়ীর পাশ হতে খালের পাড় দিয়ে নতুন নতুন বাড়িঘর তৈরি হয়েছে এবং নতুন রাস্তা সৃষ্টি হয়েছে । নতুন এই রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষের চলাচল বেড়েছে। এই জন্য জয়াখালী যাত্রী ছাউনী হতে সহকারী জজ ইব্রাহীম খলিল মুহিম সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত ( আনুমানিক আধা কিলোমিটার ) রাস্তাটি ইটের সলিং করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকার সাধারন জনগন।