রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার আদালতকে বিকেন্দ্রীকরণে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সারা দেশে যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সমালোচনা করবো কিন্তু ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবো না: রিজভী রোহিঙ্গা সংকটে অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই: সেনাপ্রধান গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ন্যারেটিভ তৈরি করতে মিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে: প্রেস সচিব সুনামগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত কৃষিঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

খুলনায় কলেজছাত্র রুবেল হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২

এফএনএস: খুলনায় বিএল কলেজছাত্র মো. রুবেল হত্যার দায়ে আল আমিন বিশ্বাস নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানসহ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ। আল আমিন খানজাহান আলী থানার জাব্দিপুর এলাকার মোমিন বিশ্বাসের ছেলে। রুবেল সরকারি বিএল কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ও নগরীর আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতি এলাকার বাসিন্দা চান মোল­ার ছেলে। অপরদিকে এ মামলার অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আইনজীবী জানান, তেলীগাতী মধ্যপাড়া এলাকার চান মোল­ার ছেলে ভিকটিম মো. রুবেল। সে বড় ভাই বারেকের স্ত্রীর ছোট বোন শম্পা ফুলবাড়িগেট টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের পড়াশুনা করত। শম্পার স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আসামি আব্দুল­াহসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি জানার জন্য রুবেল আব্দুল­ার কাছে যায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডাসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আব্দুল­ার। পরিকল্পনার তিন মাসের মধ্যে রুবেলকে খুন করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২১ জুন বিকেলে প্রতিবেশী রাজীবকে সঙ্গে নিয়ে ভিকটিম ফুলবাড়িগেট আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যায়। রাত সোয়া আটটার দিকে রুবেল কুয়েটের নবম ব্যাচের সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যায়। সেখানে আব্দুল­া রুবেলকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া দেয়। কিছু বুঝতে না পেরে রুবেল কুয়েটের অডিটোরিয়ামে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং মেজভাই বারেককে ফোন দেয়। আব্দুল­াহ ও তার সহযোগীরা তাকে ঘিরে রেখে মারধোর করতে থাকে। একপর্যায়ে আব্দুল­াহ ধারলো ছুরি বের করে রুবেলের পেটে ঢুকিয়ে দেয় ও অপর আসামি পলাশ ছুরি দিয়ে বাম হাতে আঘাত করে। এলাকাবাসী ও বারেক উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরের দিন নিহতের বাবা আবু বক্কার সিদ্দিক আট জনের নাম উলে­খসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০ জনের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাতনামা আসামির মধ্যে আল আমিনের নাম ছিল। পুলিশের কাছে আটক হওয়ার পর সে হত্যাকান্ডে বিবরণ জানিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার মৌসুমীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই পলাশ গোলদার ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারাধীন সময়ে ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com