শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২

এফএনএস: মিথ্যা অজুহাতে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করায় খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারকে শোকজসহ বিভাগীয় সদর দপ্তরে তলব করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) পাকশী মো. আনোয়ার হোসেন তাকে শোকজ করে বৃহস্পতিবারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৬ মে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার খুলনার পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুলনার রেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোষানলে পড়লে তিনি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের নাম বলেন। একই সঙ্গে তিনি জিডিতে উলে­খ করেন, স্টেশনের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার টেলিফোন নির্দেশে আমি এ সাধারণ ডায়েরি রেল থানায় নথিভুক্ত করেছি। সেখানে তিনি আরও উলে­খ করেন, রেলওয়ের টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম, আইডব্লিউ অফিসের মো. জাফর মিয়া, তোতা মিয়া, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ ও মো. জাকির হোসেন কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করেন। তারা রাজনৈতিক নেতাদের ভুয়া নাম ব্যবহার করে টিকিটের চাহিদা প্রদান করে সেটি গ্রহণ করেন। টিকিট না পেলে তারা বহিরাগতদের দিয়ে আমাকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। তারা আমার মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছেন। জিডির এ কপি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার হাতে পৌঁছালে তাৎক্ষণিক তিনি খুলনার স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারকে কারণ দর্শীয়ে বিভাগীয় সদর দপ্তরে সশরীরে এসে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে খুলনা রেল স্টেশনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, মানিক চন্দ্র সরকার কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগে শাস্তিমূলক বদলি হয়েছিলেন। তাকে কখনই তার চেয়ারে পাওয়া যায় না। মোবাইল কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন না। এ ব্যাপারে রেলওয়ের টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম বলেন, কখনোই আমরা টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করি না। যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারকে নরা পেয়ে আমাদের কাছে আসেন। যেহেতু আমরা খুলনায় বসবাস করি, আমাদের সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, অনেক সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টিকিট না পেয়ে আমাদের শরণাপন্ন হন। সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ বলেন, স্টেশন মাস্টার সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি ঠিকমতো অফিসে বসেন না। ফলে সেবা গ্রহণকারী যাত্রীদের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়ে। তিনি বলেন, মাস্টার নিজেই কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করেন। তিনি যে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করেন তার একটি তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। তিনি আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। আমরা সব সময় তার সহযোগিতা করে আসছি। এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, জিডির বিষয়ে আমাকে শোকজ করা হয়নি। অন্য একটি বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে। তবে কোন বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে সেটি বলতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com