এফএনএস: দেশে গণতন্ত্র না থাকলে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকদের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা যদি চর্চা করা যায় তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র থাকে। গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায় তারা একে একে আমাদের স্বাধীনতার সমস্ত চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই গণতন্ত্র যেটা আমাদের মূল চেতনা, যেটা ৭২ সালে রচনা হয়েছিল, সেই সংবিধানের মূল কথা হচ্ছে গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পত্রিকা ব্যতীত সমস্ত পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকলে হবে না সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকতে হবে।’ ড. মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই বাকশালের পরিবর্তে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’তিনি বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছয় শতাধিক নেতাকর্মীদেরকে গুম করেছে। সহ¯্রাধিক নেতাকর্মীদেরকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। আমাদের কন্ঠ রোধ করার জন্য এক লাখের ওপরে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩৭ লাখ নেতাকর্মীদের মামলার আসামি করা হয়েছে।’ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে স্বাভাবিকভাবে যারা গায়ের জোরে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তাদেরকে বিদায় করতে হবে।’ খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা যে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এর লক্ষ্য এই সরকারের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। বাংলাদেশকে সর্বক্ষেত্রে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেটা থেকে কিভাবে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করা যাবে, সেজন্য ২৭ দফা প্রস্তাবনা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি।’ ডিইউজের সভাপতি এম আব্দুলার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, কবি আবদুল হাই সিকদার, সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।