শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন

গত বছর ৩৪৬ পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি -আইজিপি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২ মার্চ, ২০২২

এফএনএস: দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গত বছর ৩৪৬ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। এর মধ্যে ১৩৮ জনকে কর্তব্যরত অবস্থায় হারিয়েছি। আমরা আমাদের সহকর্মীকে হারিয়েছি, প্রিয় মুখকে হারিয়েছে পরিবার। অনেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়েছে। সেই পরিবারটিকে ঘুরে দাঁড়াতে আরও ২০ বছর লাগে। তাদের কিসের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তারাই বোঝে। পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২২ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ২০২১ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মৃত পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করে অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা যে ধরনের আত্মত্যাগ করছেন, তা পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের চেতনাকে আরও অনুপ্রাণিত করে। আত্মার মাগফেরাত, পরিবারের জন্য সমবেদনা- এই দুটি কথা তাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আইজিপি আরও বলেন, হিরোকে যে জাঁতি স্বীকৃতি দিতে পারে না, সে জাঁতি হিরো তৈরি করতে পারে না। ১৯৭১ একটা প্রমাণ, জাতীয় বীরেরা কী করতে পারে, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেঙ্গল রেজিমেন্ট ট্যাংকের বহর ঠেকিয়ে দিয়েছিল। যখনই সুযোগ পেয়েছে বাঙালি জাঁতি প্রমাণ করেছে, আমরা হিরো। শান্তির সময়ে পুলিশ যুদ্ধে লিপ্ত থাকে, এ যুদ্ধ অশান্তির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে যারা সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘœ করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। সব সময় আমরা এ যুদ্ধে লিপ্ত। যুদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত। প্রতিনিয়ত যেহেতু যুদ্ধ করছি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সেজন্য আমরাও প্রতিবছর আত্মত্যাগ করছি। আইজিপি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেতো পরিবার। তখন বিল পাস করতেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)। সরকার ২০২০ সালে অনুদান পাঁচ লাখ থেকে আট লাখ টাকা করার পর সেই বিল পাস করেন জেলা প্রশাসকরা। এতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যান ৩৭৭ পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে মাত্র ৭৯ পরিবার অনুদানের টাকা পেয়েছেন। বাকি সব সদস্যের টাকা পেন্ডিং। অনুষ্ঠানে আইজিপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। আইজিপি স্বরাষ্ট্র সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের পুলিশের কোনো সদস্য যখন দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যান তখন পুরো পরিবার অথৈ সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হয়। জেলা প্রশাসকরা অনেক ব্যস্ত থাকেন। এই দায়িত্ব যদি আবারও পুলিশ সুপারদের কাছে যায় তাহলে সমন্বয়হীনতা থাকবে না। মৃত পুলিশ সদস্যদের অসহায় পরিবারগুলোর অনেক উপকার হবে। আশা করছি এই অনিশ্চয়তা কাটাতে উদ্যোগী হবে মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, শান্তিকালীন সময়ে যারা দুষ্কৃতকারী, জনগণ, সমাজ ও রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশ ক্রমাগত যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। এই যুদ্ধ সন্ত্রাসী, অপরাধী, জঙ্গি, গ্যাং, চোর-ডাকাতদের বিরুদ্ধে। যারা শান্তিভঙ্গ কিংবা বিনষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধ থাকলে মৃত্যু অনিবার্য। আমরা শান্তিকালীন সময়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি দেশ, জনগণ, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য। এজন্য আত্মত্যাগ করছেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কমরেড, সহকর্মী, বন্ধু, কলিগ ও প্রিয়মুখকে হারিয়েছি জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, শুধু সমবেদনা জানানোয় এটা সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের বিরাট অনুরণন আছে, শোকাবহ অনুরণন রয়েছে। আমরা তাদের আত্মত্যাগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ আমরা বীরের জাতি। বীরের আত্মত্যাগ আরও বীরের জন্ম দেবে। কেউ আহত হন, নিহত হন ও মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস তাদের অবদানকে সর্বদা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছে। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রফেশনাল, জব সেফটি, সেফটি এনভায়রনমেন্ট আরও ভালো করার চেষ্টা করছি। যারা অসুস্থ হন তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদেই পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের যাত্রা শুরু হয়। তিনি ৫ কোটি টাকার চেক দিয়ে এর যাত্রা শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ২০০৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে ৫২ কোটি টাকা দিয়েছি। এ বছরও পৌনে দুই কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। আইজিপি আরও বলেন, গত দুই বছরে সবার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালে পরিণত হয়েছে আমাদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরও বেশি সহযোগিতা-সাপোর্ট প্রত্যাশা করছি। বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব ও কাজের পরিবেশের কারণে পুলিশ সদস্যদের বিশেষ ধরনের রোগ হচ্ছে জানিয়ে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, শ্বাসকষ্ট, কিডনি রোগ, ক্যানসার ও হার্টের সমস্যা হচ্ছে। আমরা এরইমধ্যে ডায়ালাইসিস ইউনিট যুক্ত করেছি। যেখানে ১০০ থেকে ১৫০ কিডনি রোগে আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ডায়ালাইসিস সুবিধা পাচ্ছেন। এসব রোগের চিকিৎসা আমাদের হাসপাতালে চলছে। ২৯৬ জন স্টাফ দিয়েছে সরকার। এর নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এটা সম্পূর্ণ হলে চিকিৎসার মান আরও বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা চলতি বছরই ক্যাথ ল্যাব (কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন) সংযুক্ত করছি। ফলে হার্টের রোগীদের আর বাইরে যাওয়া লাগবে না। ইন হাউজ রিং পরানো যাবে। আগামী বছরই ক্যানসার ইউনিট চালু করা হবে জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সিরিয়াস ব্যাধির চিকিৎসা হবে। ক্যানসার হলে ৫, ১০ ও ১৫ লাখে কিছু হয় না। এই টাকা খরচ না করে আমরা চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা করবো। ঢাকা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি সম্পন্ন হলে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চাপ কমবে। ২ লাখ ১২ হাজার সদস্যের চিকিৎসা সম্ভব হবে আমাদের হাসপাতালেই। আড়াইশ’ বেডের এই হাসপাতাল এখন ১১৫০ বেডের। সেখানে আরও ৫০০ বেড বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, পুলিশ বহুমুখী দায়িত্ব পালন করে। রাষ্ট্র ব্যবস্থার যে উন্নতি তাতে শিল্পায়ন-নগরায়ন হচ্ছে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকছে বছরের পর বছর কিন্তু কেউ কাউকে চেনে না। মানুষ একা হয়ে পড়ছে। সে কারণেই বর্তমান অবস্থার মধ্যে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেটা পুলিশের দায়িত্বের বাইরে। উন্নয়নের পেছনে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করি। শিল্প পুলিশ প্রতিষ্ঠার আগে এমন কোনো মাস ছিল না যে আগুন লাগেনি। এখন কিন্তু মালিক বেতন না দিলে শিল্প পুলিশ সে ব্যবস্থা করছে। আইজিপি আরও বলেন, পাঁচটা মন্ত্রণালয় সিলেক্ট করেছি, আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। ফলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে। যদিও কারও কারও চক্ষুশূলের কারণ হচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ে পুলিশিংয়ের সঙ্গে উন্নয়নের কাজে অংশ নিতে পারি। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, পুলিশ বাহিনীর কোনও সদস্যের নেতিবাচক বিষয় প্রকাশিত হলে পুরো বাহিনীর ওপর তা প্রভাব ফেলে। আমরা কোনও ভুলত্র“টি থাকলে পরামর্শ দেওয়ার আহŸান জানাচ্ছি। পুলিশ বাহিনীর একটি ঐতিহ্য রয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যারা নিহত হয়েছেন, শাহাদাৎ বরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি খোঁজ খবর রাখবেন। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, যা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন। এটি বাস্তবায়ন না হলে সমাজে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এসব কাজ করতে গিয়ে পুলিশের ছোটখাটো ঘটনা ঘটলে আমরা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখি। অথচ পুলিশকে সবসময় সম্মান ও শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখা উচিত। তাদের ছোটখাটো ভুল হলে আমরা পরামর্শ দিতে পারি। ২০৪১ সালের লক্ষ্যে পৌঁছাতে নিজ দায়িত্বের বাইরেও বাড়তি দায়িত্বের কথা উলে­খ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, আপনারা (পুলিশ) নৈমিত্তিক কাজের সঙ্গে শুধু একটি দিন যদি ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনসাধারণের সঙ্গে বসে গ্রামের যুবক ও বেকারদের পরামর্শ দিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তাহলে তারা আর কোনো অন্ধকারে থাকবে না। ফলে দেশ-মানুষ উপকৃত হবে, এ জায়গাটায় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে পুলিশের। অধস্তনদের এসব কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গ্রামের অবহেলিত মানুষকে এগিয়ে নিতে হবে। একা হয়তো অনেক কিছুই সম্ভব নয়। তবে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্ভব অনেক কিছু। আউট অব দ্য বক্স, দায়িত্বের বাইরে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। ইনোভেটিভ কাজে অগ্রগামী হতে হবে। স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ক্লাসে এখন জীবনমুখী কথাবার্তা হয় না। কীভাবে শিক্ষার্থীরা পাস করবে সেটাই মুখ্য থাকে। শুধু সার্টিফিকেটই জীবনের সবকিছু নয়, জীবনের মানে, দায়িত্ববোধ, জানতে বুঝতে ও শিখতে হবে। আমরা অপরাধ ঘটলেই কেবল অপরাধীর পেছনে ছুটবো! আমার মনে হয় প্রো-অ্যাকটিভ কিছু করতে হবে। যাতে অপরাধী অপরাধ থেকে বিরত থাকে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, লোনের ব্যবস্থা করা। পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করা পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহŸান জানান সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাতজন পুলিশ সদস্যের পরিবারকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্বীকৃতি স্মারক তুলে দেন সচিব, আইজিপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। করোনার কারণে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারকে ঢাকায় না ডেকে স্থানীয় পর্যায়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এর আগে মৃত্যুবরণ করা পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ও তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি) কনভেনশন হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২০২১ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী ১৩৭ পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপিসহ উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও ২০২১ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবার পুলিশ স্টাফ কলেজ চত্বরে নবনির্মিত পুলিশ মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে এবং কর্মরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৭ সাল থেকে ১ মার্চ মেমোরিয়াল ডে পালন করছে। প্রতি বছর মেমোরিয়াল-ডে তে ওই বছর মৃত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। মেমেরিয়াল-ডে পালন করার জন্য এরইমধ্যে রেপলিকা তৈরি করা হয়েছে। জেলা/ইউনিটে একই দিনে রেপলিকা-স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে মেমেরিয়াল-ডে পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের বিদ্যমান স্মৃতিস্তম্ভ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১০ সালে স্থায়ী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিজ্ঞ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় নকশা প্রণয়ন ও সাইট নির্ধারণ করে ২০১৯ সালে নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। বেদীর মাঝখানে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরের সম্মুখযোদ্ধা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের বছর ১৯৭১ এর অনুসরণে টাওয়ারটির উচ্চতা ৭১ ফুট নির্ধারণ করা হয়েছে। রাতের বেলায় টাওয়ার থেকে বিকিরিত আলো বীর শহীদদের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com