সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

জনগণের কাছে ফিরে যাব -ইমরান খান

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : আমি ‘আমদানি’ করা সরকার মানি না। এর বিচারের জন্য জনগণের কাছে ফিরে যাবো। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে মর্মাহত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তা সত্ত্বেও জাতীয় পরিষদ পুনর্বহালের সিদ্ধান্তে আমি বিচারবিভাগকে সম্মান করি। তাদের দেয়া রায় আমি মেনে নিয়েছি। ইমরান খানকে এক সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময়কে স্মরণ করে তিনি বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দেশে ন্যায়বিচারের অভিভাবক হলো বিচার বিভাগ। তিনি আরও বলেন, দেশের বিচার বিভাগকে তিনি যখন শ্রদ্ধা করেন তখন সুপ্রিম কোর্টের কমপক্ষে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয় তদন্ত করা উচিত ছিল। পক্ষান্তরে সুপ্রিম কোর্ট ‘হুমকিমূলক চিঠি’র বিষয়কে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি হর্স ট্রেডিং বা তার দলের নেতাদের অর্থের বিনিময়ে কিনে নেয়ার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৩(এ)-এর সিদ্ধান্তে হতাশা ব্যক্ত করেন। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ হলো আমাদের ভবিষ্যত। তারা যদি দেখে নেতারা তাদের বিবেক বিক্রি করে দিচ্ছেন, তাহলে তাদের সামনে আমরা কি শিক্ষা রেখে যাচ্ছি? এমনকি সংরক্ষিত আসনে যেসব ব্যক্তিকে এমপি বানানো হয়েছিল, তারাও অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই দাঁড়াবে জাতি বলে মন্তব্য করেন ইমরান খান। বলেন, যদি জাতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং দেশে অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর উন্নত না করে তাহলে কেউই তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না। হুমকিমূলক চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, এই চিঠি মিডিয়া বা পাবলিকের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কারণ এটা কোড সম্বলিত। এই কোড প্রকাশ হলে পাকিস্তানের অনেক গোপন তথ্য প্রকাশিত হয়ে পড়বে। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ আছে। আমি চাই সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে দৃষ্টি দেবে। কারণ, এটা অত্যন্ত গুরুতর এক অভিযোগ। বিদেশি একটি দেশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার দেশের সরকারকে উৎখাত করতে চায়। এ জন্য সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত করবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যে একটি মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে যে- আমি ইমরান খানের রাশিয়া সফর করা উচিত হয়নি। অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই ইমরান খান অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করেন। বলেন, যদি ইমরান খান এই অনাস্থা প্রস্তাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন, তাহলে পাকিস্তানের সামনে ভয়াবহ পরিণতি আসবে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা আগেই জানতেন যে, তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়া হবে না। তারা আরও জানে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারলে পাকিস্তানে কে ক্ষমতায় আসবে। ভাষণে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফের কড়া অভিযোগ আনেন ইমরান। শাহবাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তিনি তো দৃশ্যত শপথ গ্রহণের জন্য তার শেরওয়ানি পর্যন্ত প্রস্তুত করে ফেলেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বিদেশি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com