এফএনএস: মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা পরিষদে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগকে অগ্রহণযোগ্য ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের চিন্তা বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি তোলে সুজন। গতকাল বুধবার সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যৌথ বিবৃতি দিয়ে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করে পরিষদগুলোতে প্রশাসক নিয়োগের আগ পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। বিরোধী দলের সংসদ সদস্য এবং নাগরিক সমাজের বিরোধিতা সত্তে¡ও পাস করা ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০২২’ অনুযায়ী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আইনসিদ্ধ হলেও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। এতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। রাষ্ট্রের একটি অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে এ মূলনীতি থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। তাই প্রশাসক বা প্রশাসকের অবর্তমানে সিইও নিয়োগের সিদ্ধান্ত সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আমরা মনে করি। এ ছাড়া সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে জেলা পরিষদের দায়িত্ব অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ওপরে অর্পণ করা তাই সংবিধানের নির্দেশনার পরিপন্থী। বিবৃতিতে বলা হয, জেলা পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগের চিন্তা না করে যথাসময়ে নির্বাচনের আয়োজন করা-ই মূল সমাধান। জেলা পরিষদগুলোতে অতিসত্ত¡র নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানায় সুজন।