বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

জেলা পর্যায়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২২ এপ্রিল

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস: বিভাগীয় পর্যায়ে নয়, জেলায় জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে আগামী ২২ এপ্রিল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর মে মাসে দ্বিতীয় ধাপে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। এটা সবাই চাইছেন না। যদিও জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবুও নিতে হবে। জেলা প্রশাসকরা পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে জেলা পর্যায়ে সমস্যা হবে না। কবে নাগাদ পরীক্ষা নেওয়া হবে জানতে চাইলে মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, আগামী ২২ এপ্রিল প্রথম ধাপের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হবে পরের মাসে (মে)। দুই ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষ হবে। এর আগে চলতি এপ্রিলের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং উত্তীর্ণদের জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১০ মার্চ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার। সেই মোতাবেক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। আগামী ৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করেন চাকরি প্রার্থীরা। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার সঙ্গে মামলা করা হবে এমন প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন করে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। গত ২০ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকও করে। গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়েছিলো, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরইমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com