এফএনএস বিদেশ : করোনার প্রকোপ কমে আসায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে বেশির ভাগ দেশ। বয়স্কদের পাশাপাশি জোর দেয়া হচ্ছে শিশুদের টিকা নিশ্চিতে। এর ফলে বিশ্বের নানা প্রান্তে খুলে দেয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে ইউনিসেফ বলছে, প্রায় ৩ বছরের ঘাটতি পুষিয়ে ওঠা খুব সহজ হবে না। প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ২৩টি দেশের ৪০ কোটি ৫০ লাখ শিশু এখনো টিকা না পাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের ১৪ কোটি ৭০ লাখ শিশু স্কুলে গিয়ে পড়াশুনার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হয়েছে। দুই বছর পর এখনো স্কুলে ফিরতে পারেনি ২৩ দেশের ৪০ কোটি ৫০ লাখ শিশু, এমনটাই জানিয়েছে শিশুরা স্কুলে যেতে না পারায় শংকা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার বিধিনিষেধ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে শিথিল করে স্কুল কলেজ খুলে দেয়া হলেও অনেক দেশেই টিকার অভাবে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। বিশেষ করে ফিলিপাইন্স, হন্ডুরাস, সলোমন আইল্যান্ড এবং ভানুয়াতুর ৭০ শতাংশ প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ আছে শুধুমাত্র টিকার অভাবে। উগান্ডায় প্রায় দুই বছর ধরে স্কুলগুলো বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে স্কুল পুনরায় খোলার পর স্কুলগামী শিশুদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন স্কুলে ফেরেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আফ্রিকা-এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে স্কুুল না খুললেও খুলে দেয়া হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাই দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলো শিশুদের স্কুলে না পাঠিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজে পাঠাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিবেদনে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেসব শিশু, যাদের শিক্ষা জীবন এখনো শুরুই হয়নি। এসব শিশুদের শিক্ষার ঘাটতি পূরণে ৭ বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।