এফএনএস স্পোর্টস: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলের জার্সিতে আর টি-টোয়েন্টি খেলবেন না তামিম। এমনকি বাঁহাতি ব্যাটার নাকি অনুরোধও করেছেন, যেন কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ফেরার অনুরোধ করা না হয় তাকে। এই অবস্থায় নতুন করে শোনা যায়, তামিমকে ফেরাতে জোর ‘উদ্যোগ’ নিয়েছে বিসিবি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ঘোষণা দিলেন তামিম। জানালেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ছয় মাসের বিরতিতে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেছেন, ‘গত কয়েক দিনে আমার সঙ্গে অনেকের কথা হয়েছে। বোর্ড সভাপতি (পাপন), জালাল ইউনুস, কাজী ইনাম আহমেদ…। তারা আমাকে টি-টোয়েন্টি কন্টিনিউ করতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু আমি তাদের সিদ্ধান্তে সম্মান জানিয়ে চিন্তা করেছি আগামী ছয় মাস টি-টোয়েন্টি খেলবো না।’ যদিও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি পরের কথায়, ‘এই সময়টাতে আমি ওয়ানডে আর টেস্টে ফোকাস রাখবো। ছয় মাস পর যদি আমাকে দরকার হয়, নির্বাচকরা যদি মনে করেন, আমিও যদি নিজেকে ফিট মনে করি, তাহলে খেলবো।’ ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মোটেও ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। বিশেষ করে টপ অর্ডার ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। এরপরও তরুণদের নিয়ে সাজানো টপ অর্ডারের ওপর আস্থা রাখছেন তামিম, ‘আশা করি আমাদের তরুণরা এত ভালো খেলবে যে আমাকে প্রয়োজন হবে না। তাদের নিয়েই অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাকে আর দরকার হবে না। তারপরও বিশ্বকাপের আগে দল ও আমি যদি মনে করি আমাকে দরকার, তখন চিন্তা করবো।’ ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তামিম। এরপর বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, ফের নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেললেও তামিম কোনও সিরিজ খেলেননি। যদিও নিউজিল্যান্ডে অ্যাওয়ে সিরিজ বাদে বাকি সিরিজগুলোতে না খেলার অন্যতম কারণ ছিল ইনজুরি। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার পর বোঝা যাচ্ছিল, এই ফরম্যাটে খেলতে আগ্রহী নন বাঁহাতি ওপেনার। বিশ্বকাপের সময় তামিম বলেছিলেন, ‘সবার কাছে পরিষ্কার করে দিতে চাই আমি অবসর নিচ্ছি না। শুধু এই বিশ্বকাপটা আমার খেলা হচ্ছে না। কারণ, আমার জায়গায় যারা খেলছে, তারা অনেক দিন খেলছে। তারা সার্ভিস দিচ্ছে। হয়তো আমার চেয়ে ভালো সার্ভিস দেবে। এখানে কোনও বিতর্ক নেই।’ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১০২টি। এরমধ্যে ৭৮ ম্যাচেই ছিলেন তামিম। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেকের পর ইনজুরি কিংবা ব্যক্তিগত সমস্যা ছাড়া ম্যাচের বাইরে থাকেননি তিনি। তাকে ছাড়াই বাংলাদেশ গত দুই বছরে অনেক ম্যাচ খেলেছে। দেশের হয়ে ৭৮ ম্যাচ খেলা তামিমের সংগ্রহ ২৪.০৮ গড়ে ১ হাজার ৭৫৮। যেখানে স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১৬.৯৬!