বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

ডুমুরিয়ায় নান্দনিক নকশায় ৫তলা ভবনটি দৃষ্টি কেড়েছে সবার ঃ কক্ষ সংকটে বাদ পড়ল ৪ দপ্তর

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদে ৬তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট নান্দনিক নকশায় নির্মিত ৫তলা ভবনটি নজর কাড়ছে সবার। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনটি (হলরুমসহ) নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯ টাকা। উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে একই ছাঁদের নিচে জনসাধারণের সব ধরণের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের এ উদ্যোগ।কিন্তু একই সাথে ৬তলা ভবন নির্মান না হওয়ায় কক্ষ স্বল্পতার কারনে ঠাই পেয়েছে মাত্র ৯টি দপ্তর।বাদ পড়েছে গুত্বপূর্ন আরো ৪টি দপ্তর।তবে পর্যায়ক্রমে ৬তল ভবনের কাজ শেষ করতে পারলে একই ছাদের নীচে ঠাই পাবে সকল দপ্তর বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা যায়,প্রায় তিন যুগ পূর্বে নির্মিত উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনটি জরাজীর্ণ ভবনে পরিনত হয়েছে।এখানে বসে নানা সমাস্যা ও ঝঁকির মধ্যে দিয়ে কাজ করে আসছে কর্মকর্তা-কর্মচারী।অধিকাংশ কক্ষ ও ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল।অনেক কক্ষে বৃষ্টির পানিও পড়ে। এসব সমস্যা উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখে ছিলেন তারই আলোকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্মিত এ ভবনটি।স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এশা-এমবিপিএল মহিউদ্দিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর দায়িক্ত ভার গ্রহন করেন।যার বাস্তব রুপ দেন স্থানীয় ঠিকাদার খান মহন ও শেখ শাহিনুর রহমান।ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তÍর কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি। কাজটি বাস্তবায়ন করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি)।ঝকঝকে চকচকে আধুনিক এ ভবনটির উদ্বোন করা হয় ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর।এইচ প্যাটেন্ট দুই ’বে’ বিশিষ্ট ৬তলা ফাউন্ডেশনের ৫তলা ভবনের প্রতিটি বে’তে ৫ টি কক্ষ, দুইটিতে এট্যাস্ট বাথরুম ও একটি কমন বাথরুম আছে। অর্থাৎ প্রতি তলাতে রয়েছে ১০টি কক্ষসহ পর্যাপ্ত টয়লেট। যার ৫ম তলায় কৃষি সম্প্রসারণ অফিস, যুব উন্নয়ন, সমবায়, ৪র্থ তলায় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, ১টি ট্রেনিং/মিটিং রুম, ৩য় তলায় উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়, আইসিটি, ২য় তলায় ভাইস চেয়ারম্যান দ্বয়ের অফিস ও ইউএনও অফিস রয়েছে। ভবনের প্রতিটি কক্ষ অত্যন্ত খোলামেলা এবং পরিবেশ বান্ধব। এ ছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে সু-ব্যবস্থা। কিন্তু কক্ষ স্বল্পতার কারনে ঠাই মেলেনী সমাজ সেবা,উপজেলা হিসাব শাখা,মহিলা বিষযক ও পরিসংখ্যন অফিসের।যে কারনে একই ছাদে নীচে সকল সেবা নিশ্চিত হয়নি। এ জন্য প্রয়োজন ৬তলার কাজ সম্পন্ন করা।এ নিয়ে কথা হয় উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলামের সাথে,তিনি বলেন ভবনটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। এ ভবনে প্রধান দপ্তরগুলো স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের ফলে সরকারের ডিজিটাল সেবা এবং একই ছাঁদের নিচে সকল সেবাপ্রাপ্তি জনগনের যে প্রত্যাশা এবং সরকারের নির্বাচনী দেয়া যে ইস্তেহার সেটা বাস্তবায়ন হয়েছে। এটি নির্মানের ফলে জনসাধারণ বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে।জনগণের বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ানো লাগবে না,এখন থেকে এক ভবনেই সকল সেবা পাবে। তিনি আরো বলেন,দুর্যোগ প্রবণ এলাকার আওতায় নির্মিত ভবনটির নিচে ফাকা রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মুভমেন্টে আনেক লোকজন এখানে আশ্রয় নিতে পারবেন, তাছাড়া কৃষিপন্য বা গবাদি পশু এ আশ্রয় রাখা যাবে। সে আলোকেই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে ৬তল ভবনের কাজ শেষ করতে পারলে একই ছাদের তলে ঠাই পাবে সকল দপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন,পুরাতন ভবনে আমাদের কাজ করতে অনেক কষ্ট হত। নতুন এ ভবনে এসে কাজেরও গতি বেড়েছে এবং একই স্থানে বসে জনগনকে সকল সেবা দেওয়া সহজ হচ্ছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম বলেন, ভবনের দ্বিতলায় এ্যাটাষ্ট বাথরুমসহ একটি মানসম্মত অফিস পেয়ে আমি খুব খুশি। ভবনটি আসলেই দৃষ্টিনন্দন। সাধারন মানুষের নজর কাড়ছে এ ভবনের দিকে। কাঁঠালতলা এলাকার স্বদেশ মলি­ক জানান সোমবার উপজেলা পরিষদে ৩/৪টি দপ্তরে কাজ নিয়ে এসেছিলাম। অল্প সময়ের মধ্যে একই ভবনে সব কাজ সেরে নিলাম। তিনি আরও বলেন,ডুমুরিয়ায় এই প্রথম দেখার মত একটি ভবন হয়েছে যা অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে তাকিয়ে দেখলাম। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নতুন এই ভবনে একই ছাদের নীচে জনগন অনেক সেবা নিতে পারবে। যেহেতু ভবনটি সাইক্লোন কাম অফিস, সেহেতু দূর্যোগ ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্থানীয় জনগন এখানে আশ্রয় নিতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com