এফএনএস: রাস্তার পাশের খালে একটি ভাসমান এক্সক্যাভেটরে লোহার শিট দিয়ে বানানো হয় অস্থায়ী চলার পথ। ওই শিটের ওপর বিছানো হয়েছে লাল রঙের কার্পেট। সেখান থেকে কার্পেট উঠে এসেছে সড়কে। অন্তর্বতীর্ সরকারের তিন উপদেষ্টা সড়ক থেকে ওই লালগালিচা বিছানো পথে হেঁটে নামলেন খালের ওপর ভাসমান এক্সক্যাভেটরে। উপদেষ্টাদের নিয়ে এক্সক্যাভেটরটি কয়েকবার খাল থেকে মাটি তুলে পাড়ে নিয়ে রাখল। এভাবে উদ্বোধন হল ঢাকার খাল সংস্কার কাজ। গতকাল রোববার মিরপুর—১৩ নম্বরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ছয়টি খাল পুনর্খনন কর্মসূচি উদ্বোধন হয়। রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা ৩—৪টি মন্ত্রণালয় বসে কীভাবে বর্ষার আগে খালগুলোতে প্রবাহ ফেরাতে পারি সেই বিষয়ে কাজ করছি। প্রথমে খনন করবো, এরপর ধাপে ধাপে বাকি কাজ এগোবো।’ তিনি বলেন, ‘আশাকরি এই বর্ষার আগে ১৯টি খালের পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারবো। আমরা এই ১৯টি খাল নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করার পরিকল্পনা করছি।’ খাল সংস্কার কর্মসূচি উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘খালের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই মুহূর্তেই এটির সমাধান করা সম্ভব না। আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি তার মধ্যে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরি অন্যতম। ব্লু নেটওয়ার্ক চ্যানেল তৈরি করে পার্কের মতো করা। যাতে খাল দূরে সরে না যায়, কাছে আসতে বাধ্য হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্য যেকোনও সরকার থাকলে এই কাজ করতে চিঠি চালাচালিতে সময় চলে যেত। আমরা তাই কোনও প্রকল্পে না গিয়ে কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা কাজটি শুরু করে দিয়ে যেতে চাই, দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম ও প্রকল্প হাতে নিলে পরবর্তী সরকার এসে নেবে।’ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘গত সাড়ে ১৬ বছরে কীভাবে লুটপাট ও দুর্নীতি হয়েছে তারই একটি নিদর্শন খালগুলো দখল ও দূষণ। ইতোমধ্যে রাজউক টোটাইল বিল দখলমুক্ত করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে কাজ হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি এলাকার মোট ১৯টি খাল সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ৬টি খাল সংস্কারের মাধ্যমে কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে। ৬টি খালের মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় চারটি— বাউনিয়া, কড়াইল, রূপনগর ও বেগুনবাড়ি এবং ডিএসসিসি এলাকায় দুইটি— মান্ডা ও কালুনগর।