বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত ৪০

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : তুরস্কের বার্তিন প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিবিসি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং এখনো খনির ভেতরে অনেকে আটকা পড়ে আছে। বিস্ফোরণের সময় অন্তত ১১০ জন শ্রমিক ওই কয়লা খনিতে কাজ করছিল এবং এর অর্ধেকই ছিল ৩০০ মিটারের বেশি গভীরে। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১১ জনকে তারা উদ্ধার করেছেন; যাদের এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাতে জরুরি কর্মীরা পাথর খনন করে আটকেপড়াদের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে- পুরো কালো রঙে ঢেকে যাওয়া খনি থেকে কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন এবং তাদের দৃষ্টি ছিল ঝাপসা। উদ্ধারকর্মীরা তাদের কৃষ্ণসাগর উপক‚লের একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। আটকে থাকা কর্মীদের স্বজনরা খনি এলাকায় ভিড় করছেন এবং তাদের স্বজনদের জন্য উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। বিস্ফোরণটি ধারণা করা হচ্ছে যে খনির অন্তত ৩০০ মিটার ভেতরে হয়েছে। খনির ৩০০ থেকে সাড়ে তিন শ মিটার গভীরের ঝুঁকিপূর্ণ জোনে ৪৯ জন কাজ করছিলেন বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ওই এলাকায়ই তারা আছেন, যাদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি। বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে স্থানীয় প্রসিকিউটর কার্যালয় এর তদন্ত শুরু করেছে। তুরস্কের জ¦ালানিমন্ত্রী বলেছেন, ফায়ারড্যাম্পের কারণে এ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ফায়ারড্যাম্প হলো মূলত কয়লা খনির ভেতরে মিথেন গ্যাসের এক ধরনের মিশ্রণ। তিনি বলেছেন, আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি দুঃখজনক পরিস্থিতির ভেতর আছি। খনির ভেতরের একটি অংশ ধসে গেছে, তবে এখন কোনো আগুন নেই এবং ভেন্টিলেশনও ঠিকমতো কাজ করছে বলে জানান তিনি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান গতকাল শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আহতদের অনেকের ক্ষত অত্যন্ত মারাত্মক বলে জানিয়েছেন আমসারা মেয়র রেচাই চাকির। খনি থেকে নিজেই বেরিয়ে আসা একজন শ্রমিক বলেছেন, ‘ভেতরে ধুলা আর ধোঁয়া এবং আমরা আসলে জানি না যে কী হয়েছে সেখানে। ‘ ওই খনিটির মালিক রাষ্ট্রায়ত্ত তুর্কিশ হার্ড কোল এন্টারপ্রাইজ। এর আগে ২০১৪ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় সোমা শহরে এক ভয়াবহ কয়লা খনি বিস্ফোরণে ৩০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র : বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com