শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

নগরঘাটায় ব্রীজ নির্মান হলেও বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার \ ভোগান্তির শেষ নেই

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ নগরঘাটা সম্মনডাঙ্গায় নতুন ব্রীজ হওয়া সর্ত্বেও ভোগান্তির কোন শেষ নেই। এখনও বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পার হতে হচ্ছে ভুক্তোভুগী এলাকাবাসীর। তালা উপজেলার নগরঘাটা এবং ধানদিয়া ইউনিয়নের সীমান্তে সম্মনডাঙ্গা খালের উপর ব্রীজটি নির্মিত হয়। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সেতু ও কালভার্ড ২০১৮/১৯ নির্মান প্রকল্পের আওতায় সম্মনডাঙ্গা খালের উপর ব্রীজটি নির্মানের জন্য বরাদ্দ হয়। যার দৈর্ঘ্য ৩৮ ফুট। ব্রীজটি নির্মান কাজের জন্য চুড়ান্ত ব্যয় ধরা হয় ৩০,০৩.০৮৯,৬৫ টাকা। তবে ব্রিজটি নির্মিত হলেও ব্রীজের মূল দুই ফটকে ৮ থেকে ১০ ফুটের মত ফাঁকা রাখা হয়েছে বিশেষ অজ্ঞাত কারণে। ফলে ভুক্তোভুগী এলাকাবাসী উক্ত ব্রীজ দিয়ে পারাপারে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর্ভোগ ঘোছাতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ব্রীজের দুই মূল ফটকে বাঁশ দিয়ে কোন প্রকার যাতায়াত ব্যবস্থা করে। এলাকার ভূক্তোভুগী আব্দুর রকিব জানান ব্রীজের উপর দিয়ে কোন ভ্যান নছিমন পারাপারের সুযোগ নেই। ঝুকি নিয়ে কোন প্রকার ঠেলে ঠুলে পার হতে হয় সাইকেল ও মটরসাইকেলগুলো। যানবাহন চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হওয়ার কারণে সম্মনডাংগা হাজীরপুর এবং রায়পুরের সাধারণ মানুষের বিকল্প পথ ঘুরে বেশী টাকা খরচা করে হাট বাজারে যেতে হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত ব্রীজটি জীর্ণদশার কারনে সম্মনডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের সামগ্রিক মালামাল নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে মালামাল ফেরত যায় বলে জানাযায়। তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান শেষ মূহুর্তে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ব্রীজের মূল ফটকে মাটি ভরাটের কাজ সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীর ট্রেডার্সের প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মত বিল আটকে আছে। পরবর্তীতে মাটি ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ সম্পন্ন হওয়ার পর বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে মাটি ভরাট কাজ সম্পন্নপূর্বক উক্ত ব্রীজটি উন্মূক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com