শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ শিক্ষক—কর্মচারীর আশাশুনি যুব দলের প্রস্তুতি সভা ও ইফতার মাহফিল আশাশুনি সদরের ধান্যহাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরি সাতক্ষীরায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিভিল সার্জনের প্রেস ব্রিফিং তালায় দশম শ্রেনীর ছাত্রীর চিরকুট লিখে আত্নহত্যা আটুলিয়ায় যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত আশাশুনি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সুন্দরবনে অভয়ারণ্যে এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ট্রলার সহ ৪ জেলে আটক ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ সভা জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা

নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

এফএনএস : নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের কারণে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। রাজধানীতে চাকরিজীবী বা সীমিত আয়ের মানুষেরা খরচ পোষাতে আগের তুলনায় অনেকে অর্ধেক পরিমাণে পণ্য কিনছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজন চাকরি করেন, এমন পরিবারেও চলছে টানাটানি। শনিবার কারওয়ান বাজারে তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা বেসরকারী চাকরিজীবী রফিকুল আলম। পণ্যের দাম শুনে তাঁর হতাশা বেড়ে গেল। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। সামান্য বেতনের টাকায় সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই আগের তুলনায় এখন বাজার অনেকটা কমিয়ে দিয়ে অর্ধেকে নিয়ে এসেছি। তা না হলে কোনোভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছি না।’ দেখা গেছে, বাজার করতে আসা মানুষজনের মুখে একটাই কথা, ‘জিনিসপত্রের এত দাম’। আরেকজন চাকরিজীবী শরিফুল ইসলম বলেন, সপ্তাহে তিন হাজার টাকার মধ্যে যে পণ্য কিনতেন, সেই পণ্য এখন কিনতে লাগছে সাড়ে চার হাজার টাকা। দেড় হাজার টাকা বেশি। এ অবস্থায় ওই আগের (তিন হাজার) টাকার মধ্যেই পণ্য কিনতে হচ্ছে। কিন্তু পণ্য কেনার পরিমাণ অনেক কমে গেল। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন। তারপরও তাঁদের এ অবস্থা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো ছোট চাকরি করা লোকজনের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। কী মাছ কিনব, তা সিদ্ধান্ত নিতেই পারছি না। এক সপ্তাহ আগে বাজার করেছি যে টাকায়, সেই টাকায় এখন আর বাজার হচ্ছে না।’ মুদিদোকান মালিক বলেন, যে ক্রেতা চিনি পাঁচ কেজি কিনেছিলেন, এখন তিনি দুই কেজি কিনছেন। ওই ক্রেতা পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল কমিয়ে দুই লিটার কিনছেন। প্রতিটি পণ্যই কম কম করে কিনছেন ক্রেতারা। ক্রেতা ফরমান আলী বলেন, ‘এই কয়েক দিন আগেও চিনি পাঁচ কেজি, তেল পাঁচ লিটার ও ডাল তিন কেজি কিনতাম। এখন এসব পণ্য অর্ধেক কিনছি। উপায় না পেয়ে শেষমেশ সংসারের খরচ কমিয়ে দিয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com