বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর শিয়া মসজিদের পশ্চিমে রামচন্দ্রপুর খালের পাশে দিয়ে কাটাখালি আকবর ঢালির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের গ্রামের মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাবিবপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পলী বিদ্যুৎ অফিস থাকায় এই রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এই রাস্তাটি সংস্কার করলে অত্র এলাকার জনসাধারণ সহজে বিদ্যুৎ অফিসে তাদের কাজ মেটাতে পারবে এবং নূরনগর বাজার থেকে বাজারে সওদা সহ বিভিন্ন কাজ মিটিয়ে সহজে বাড়িতে ফিরতে পারবে। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটি ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় থাকলেও কোনো সংস্কার হয়নি। প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় ঘটে চলছে দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দুর্যোগ ও বর্ষায় পানিতে ইটের সোলিং এর ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ১৫০ ফুট রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। রাস্তার পাশে খাল এবং পুকুর থাকার কারনে দুই পাশ ভেঙ্গে পুকুর ও খালে বিলীন হয়েছে। ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। দিন দিন রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন সেখানে গ্রামীন এই রাস্তার বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সোহারাফ হোসেন দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, এই রাস্তাটি ভেঙে সংকীর্ণ হওয়ায় মালবাহী ভ্যান, মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। একটু ভারী মাল থাকলে গাড়ি উল্টে যায়। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে কোলে করে নিয়ে যেতে হয় পিচের রাস্তা পর্যন্ত এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় আমাদের। এলাকাবাসীর দাবি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই রাস্তাটি মেরামত করা না হলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে কয়েক সহস্রাধিক মানুষ। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য উধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার জনসাধারণ।