মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে অপারেশন ডেভিল হান্টে বনদস্যুর দুই সহযোগী আটক, অস্ত্র উদ্ধার নলতা শরীফে ওরছ শরীফের ২য় দিন অতিবাহিত \ আজ আখেরী মোনাজাত শ্যামনগরে উৎসর্গ সোসাইটির আয়োজনে লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায় ইসলামপুর দাখিল মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা প্রদান কলারোয়ায় গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী নওয়াপাড়ায় গ্রাম আদালত বিষয়ক মত বিনিময় শ্যামনগরে গাজী ব্রিকসকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও হাজী ব্রিকস বন্ধ ঘোষণা সুন্দরবনের হরিণ ধরার ফাঁদ সহ মৃত হরিণ উদ্ধার সাতক্ষীরায় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ সাতক্ষীরায় সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পদ্মা সেতুর ওপর হাজারো মানুষের ঢল

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

এফএনএস: সেতু উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। এ সময় অনেকে হেঁটে পদ্মা সেতুতে উঠে পড়েন। পদ্মা সেতুতে উঠে সবাই নিজেকে মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়। কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ইতিহাসের সাক্ষী হতে পদ্মা সেতুর ওপর সেলফি তুলতে এসেছি। রাইসুল নামে এক যুবক জানান, পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার। দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্ন ছিল পদ্মা সেতুতে ওঠার। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হলো। সেজন্য আমরা মহাখুশি। রোজিনা আক্তার নামে এক নারী জানান, এতদিন পদ্মা সেতু নির্মাণের খবর দেখতাম। আজ সেতুটির উদ্বোধন হয়েছে। তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। বরিশাল থেকে আসা মো. সিরাজ হাওলাদার বলেন, আমি পদ্মা সেতু উদ্বোধন দেখতে গতকাল (গত শুক্রবার) বরিশাল থেকে এসেছি। আসলেই পদ্মা সেতু আমার জন্য অনেক কষ্টের অবসান ঘটালো। এতোদিন আমার বাড়ি যেতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতো। পদ্মা সেতু হওয়ায় আমার ও আমার মতো দক্ষিণবঙ্গের মানুষের চিরদিনের জন্য কষ্ট দূর হলো। এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টা ০৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওনা হয়। এর আগে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজ হাতে নির্ধারিত টোল দেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভ‚মি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com