খাঁন হামিদুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা থেকে \ পাটকেলঘাটায় আখের গুড়ে ব্যবহার করা হচ্ছে অপদ্রব্য। আখের গুড় খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জানা যায় পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের একাধিক আখের ক্ষেতে আখ মাড়াই করে তৈরী করা হচ্ছে গুড়। গুড় তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে চিনি, সোডা, হাইড্রোজ, সিকারিন, শরিষার তেল সহ একাধিক দ্রব্য। এই গুড় কতটুকু মানসম্মত, স্বাস্থ্য সম্মত তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। এমনভাবে গুড় তৈরী করলেও তদারকির সামান্যতম উপস্থিতি দৃশ্যমান নেই। গুড় ক্রেতা সাধারণত না জেনে বুঝে ক্রয় করে চলেছে। স্থানীয় একজন আখ চাষী বলেন এখন আখের রসে চিনি ও সিকারিন না দিলে গুড় মিষ্টি হয় না, এখনকার আখ খুব শক্ত ও রস কম তাছাড়া আখও ভালো হয়না। চিনি, সিকারিন না দিলে গুড় মিষ্টি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সোডা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সোডা খাবারের অযোগ্য। তবে ময়লা পরিষ্কার করতে সোডা ব্যবহৃত হয়। হাইড্রোজ এর কথা আর কি বলবো এটা গুড় রঙিন করে। যাহাতে কালো রঙের না হয় তার জন্য ব্যবহার করতে হয়। এ বিষয়ে একাধিক ডাঃ দৈনিক দৃষ্টিপাতকে বলেন হাইড্রোজ বিষাক্ত জিনিস। রাসায়নিক দ্রব্য হিসেবে কাপড়ের রং সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন হলেও সেটা ব্যবহৃত হচ্ছে খাবারে। হাইড্রোজ আমাদের পাকস্থলিতে প্রবেশ করে, তখন সেটা অনেক উপকারী সেলকে (কোষ) বিনষ্ট করে ফেলে। যা পরবর্তীতে পরিপাকতন্ত্রের নানা রোগের সৃষ্টি হয়। সেটাই দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাড়ায়। মানুষের হৃদরোগও হতে পারে। এছাড়া হাইড্রোজ না খেয়ে হাতে ধরার কারণেও রোগ হতে পারে। খাবার সু-স্বাদু ও মচমচে রাখার জন্য মুড়ি, চানাচুর, আলুর চপ, বেগুনি, জিলাপী সহ বিভিন্ন মিষ্ঠান্ন খাবারে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন গুড়ে হাইড্রোজ সহ বিভিন্ন ধরনের অপদ্রব্য ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাহা খেয়ে মানুষের ক্ষতি হবে তা আমরা করতে দেবো না।