এফএনএস স্পোর্টস: ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-০ গোলে পরাজিত করে এফএ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কোয়াড্রাপল প্রত্যাশী লিভারপুল। গত রোববার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধে রুবেন লফতাস-চিক ও ম্যাসন মাউন্টের গোলে চেলসির জয় নিশ্চিত হয়। প্যালেসের জেদী রক্ষনভাগকে ভাঙ্গতে থমাস টাচেলের দলকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। লফতাস-চিকের দুর্দান্ত স্ট্রাইকে ৬৫ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গে ব্লুজরা। এনিয়ে টানা তৃতীয় এফএ কাপের ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে চেলসি। ৭৬ মিনিটে মাউন্টের ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে প্যালেসের সব আশা শেষ হয়ে যায়। আগামী ১৪ মে ওয়েম্বলির ফাইনালে উড়তে থাকা লিভারপুলের মোকাবেলা করবে চেলসি। গত ছয় বছওে এনিয়ে পঞ্চম এফএ কাপের ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে চেলসি। ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে আর্সেনাল ও লিস্টার সিটির কাছে পরাজিত হয়ে হতাশ হতে হয়েছিল। ক্লাব ইতিহাসের ১৬তম এফএ কাপ ফাইনালে ২০১৮ সালের পর প্রথম ও সব মিলিয়ে নবমবারের মত শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে টাচেল শিষ্যরা। মঙ্গলবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর কালকের জয়টা ছিল চেলসির কাছে টনিকের মত। টাচেলের অধীনে চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জিতলেও এখনো লিগ শিরোপা জেতা হয়নি। প্যালেসেক হারানোর মাধ্যমে মাঠের বাইরের বিতর্ক কাটিয়ে কিছুটা হলেও ব্লুজ শিবিরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যদিও ফাইনালে লিভারপুলের মত কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের তারা কতটা মেলে ধরতে পারে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটি থেকে তিনটি পরিবর্তন করে কাল মূল দল সাজিয়েছিলেন টাচেল। থিয়াগো সিলভা, এন’গোলো কান্টে ও লফতাস-চিক ছিলেন বদলী বেঞ্চে। এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে কোন গোল হজম না করে চেলসি দুইবার প্যালেসকে পরাজিত করেছে। লো ডিফেন্সিভ ব্লকের কারণে সবসময়ই প্যালেসের বিপক্ষে খেলা যেকোন দলের জন্যই কঠিন। কালও তার ব্যতিক্রম ছিলনা। ২৫ মিনিটে একটি সহজ সুযোগ থেকে কেই হাভার্টজের জেড সহজেই রুখে দেন প্যালেস গোলরক্ষক জ্যাক বাটল্যান্ড। পরের মুহূর্তেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠত্যাগ করেন মাতেও কোভাচিচ। ২৬ মিনিটে তার পরিবর্তে মাঠে নামেন লফতাস-চিক। টিমো ওয়ার্নারের ক্রস থেকে সিজার আজপিলিকুয়েটার ভলি সফল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আরো বেশী আগ্রাসী হয়ে মাঠে নামে চেলসি। প্যালেসও ছেড়ে কথা বলেনি। যদিও কোনভাবেই ধৈর্য্যহারা হয়নি চেলসি। অবশেষে ৬৫ মিনিটে হাভার্টজের পাস থেকে লফতাস-চিক দারুন স্ট্রাইকে ১২ গজ দূর থেকে বাটল্যান্ডকে পরাস্ত করেন। ৭৬ মিনিটে ওয়ার্নারের পাস থেকে মাউন্ট গোল করলে চেলসির জয় নিশ্চিত হয়।