শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন

প্রতাপনগরে ৩৫০ ফুটের ভাসমান সেতু উদ্বোধন \ হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিফলন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২

মাসুম প্রতাপনগর (আশাশুনি) থেকে \ প্রতাপনগরে ৩৫০ ফুটের ভাসমান সেতু উদ্বোধন। হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিফলন। গতকাল বেলা ৩ টায় প্রতাপনগর হাওলাদার বাড়ি বিধ্বস্ত রাস্তার বিপরীতে ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় এ ভাষমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ২০২০ সালের ২০ ও ২১ সালের ২৬ মে আম্ফান ইয়াস ঝড়ে উপকূলীয় প্রতাপনগর ইউনিয়নের পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে নদীর জোয়ার ভাটা চরতে থাকে। এক পর্যায়ে বিগত ২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কর্মকার বাড়ী থেকে হাওলাদার বাড়ি হয়ে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙ্গে হাওলাদার বাড়ি দক্ষিণ হরিশ খালির দক্ষিণ এলাকার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তী মাসের ৮ অক্টোবর হাওলাদার বাড়ির জামে মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সেতুটি নির্মাণের ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া হরিশ খালির প্রায় তিনশ’ পরিবারের হাজার বারোশো মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন নির্বিঘ্নে। আম্ফান ইয়াস ঝড়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে গভীর খালের সৃষ্টি হয়। সেতু নির্মাণ সংশি−ষ্ট কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন সেতুটি নির্মাণ করতে ২ লক্ষ্য টাকা ব্যায় হয়েছে। জন সাধারণের চলাচলের জন্য নৌকা, ভাসমান ড্রামের ভেলায় যাতায়াতের একমাত্র বাহন ছিল। নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটা চলমানে অত্র স্থানের একটি মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছিল। তৎসময়ে মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। সেই থেকে যোয়ার ভাটায় সৃষ্টি হওয়ায় ও রাস্তাটি ভেঙ্গে বিলীন হয়ে খালের অপর পারের প্রায় হাজার বারশো মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেতুটি নির্মাণে ৫৬ টি ২০০ লিটারের ড্রাম, সিরিজ ফুল, মেহগনি ও চম্বলের ৩৫০ সেপ্টি কাট, ৬০ কেজি পেরেক তাঁরা কাটা ব্যাবহার করা হয়। সেতুটিতে ৪ জন শ্রমিক ১২ দিন ধরে সেতু নির্মাণ কাজ করে। সেতুটি নির্মাণ কাজ দেখভাল করেন ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের স্থানীয় প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম। সেতুটি নির্মাণ শেষে গতকাল শুভ উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ ফকির, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ঢালী, ভাসমান মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মইনুর রহমান, হাফেজ বাবুল হোসেন, উদ্ধোধন কালে স্থানীয়রা বলেন দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে আমাদের যাতায়াত পারাপার করতে খুব ভোগান্তি পেতাম। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় আমাদের বাচ্চাদের স্কুল মাদ্রাসায় যেতে খুব উপকার হয়েছে। আমরা খুব খুশি হয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com