হুসাইন বিন আফতাব , শ্যামনগর থেকে: সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মুন্সিগঞ্জ-শ্যামনগর মহাসড়কের বংশিপুর থেকে সোনারমোড় এক কিলোমিটার রাস্তা। সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত আর খানা-খন্দ। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা, রমজাননগর, কৈখালী ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের শ্যামনগর উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চিকিৎসা, ব্যবসা, প্রশাসনিক কাজসহ নানা প্রয়োজনে উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াত করে। এছাড়াও শত শত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আর এ সকল পর্যটকদের যাওয়ার প্রধান সড়ক ও এটি। চলাচল করে অসংখ্য মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, অটোরিকশা, যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী পিকআপসহ অন্যান্য ইঞ্জিন চালিত গাড়ি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির প্রায় এক কিলোমিটার অংশের এতই বেহাল দশা যে মাঝে মাঝে গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে তাদের দ্বারা গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার ভাঙ্গা অংশ পার করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়া অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই খানা খন্দের স্থানগুলোতে জমে যায় পানি। তখন রাস্তা দিয়ে চলতে পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় । রমজাননগর ইউনিয়নের পাতড়াখোলা গ্রামের ভ্যান চালক আইয়ূব আলী বলেন, বংশীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনারমোড় পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গা ভেঙ্গে খানা-খন্দ তৈরি হয়েছে। ভাঙা জায়গা থেকে চলাচল করলে ভ্যানের চাকা, রিং দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া ভাঙা জায়গা থেকে ভ্যান চালালে যাত্রীরাও গালমন্দ করে। তাই আমাদের রাস্তার ভালো অংশে চলাচল করতে এঁকেবেঁকে চলতে গিয়ে মাঝে মাঝে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। গাড়িচালক রফিকুল ইসলাম জানান, এ রুটে গাড়ী চালাতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এসব ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে বাস চালকদের। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে পথচারীদের চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জনসাধারণের।