এম এম নুর আলম \ আশাশুনির মানুষ পবিত্র রমজান মাসে ছিয়াম পালন ও ছালাত আদায়ে রীতিমত কষ্টকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। খরতাপে বিদ্যুতের ঘনঘন লুকোচুরির কবলে পড়ে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হতে চলেছে। চৈত্র মাসের শেষ প্রান্তে প্রখর রৌদ্রের মধ্যে সারাদিন ছিয়াম পালনকারীরা রীতিমত কঠিন সময় পার করে থাকেন। রাতদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৫ ঘন্টার মত খাদ্য-পানীয় থেকে শুরু করে সকল খারাপ কাজ ও আনন্দ পরিত্যাগ করে আলাহর রহমতের কাঙাল হয়ে ছিয়াম পালন করে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রাত্র জাগরণ করে ইবাদত, শেষ রাতে উঠে ছাহরী খেয়ে দিন ৫ ওয়াক্ত ছালাত আদায়, দিনশেষে ইফতারী এবং কিয়ামুল লাইল (তারাবী) ছালাত আদায়ে দীর্ঘ সময় মসজিদে একমনে আলাহর ধ্যানে মশগুল থাকতে হয় মুসলি ও ছিয়াম পালনকারীদের। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের প্রত্যেক কর্মে প্রতিবন্ধকতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। ছলাতের জন্য আজানের পূর্বে, সময়, ছলাতের সময়, ইফতারীর সময়, সেহরীর সময়সহ দিনে অসংখ্যবার বিদ্যুতের প্রস্থান রীতিমত নিয়মে পরিণত হতে চলেছে। এতে করে মুসলি ও ছিয়াম পালনকারী মুসলমানদেরকে কষ্টকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। সচেতন ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, রমজান মাসে যেখানে সবকিছু সুন্দর ভাবে পরিচালিত করতে সকল সেক্টরে পূর্ব প্রস্তুতি থাকে। সেখানে বিদ্যুৎ বিভাগের কি প্রস্তুতি ছিল? মানুষ এসময় মসজিদে থাকবে ভালভাবে। বিদ্যুৎ তাদেরকে গরমে অতিষ্ট করে মসজিদ থেকে বের করতে চাইছে! কেন? বিদ্যুৎ বিভাগ ও সরকার যেখানে বারবার বলছে, দেশে কোন বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, সেখানে সালাতের সময়, আজানের সময়, ইফতারি ও সাহরীর সময়, ভোর রাতে, ভোর বেলা, গভীর রাতে কেন বিদ্যুতের লোড সেডিং? কেন বিদ্যুতের দীর্ঘ প্রস্থানের ঘটনা? এলাকাবাসী এ যন্ত্রণা ও গরমের দিনে ছিয়াম পালনে কষ্টকর পরিণতি থেকে রেহাই পেতে কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে সাতক্ষীরা পলী বিদ্যুৎ সমিতির একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে (নং-০১৭৬৯৪০৭১৩৫) কথা বললে তিনি জানান, সারা দেশে এখন অল্প লোডসেডিং চলছে। গ্যাস উৎপাদনের কারনে সামান্য সমস্যা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।