এম এম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কবলে পড়ে আরও একদিন বিদ্যুৎ লাপাত্তায় পড়ে চরম ভোগান্তির শিকারে পড়লো। পবিত্র রমজান মাসে রাতজেগে ইবাদত শেষে সামান্য ঘুমের পরে শেষ রাতে সেহরী খাওয়া সারেন। এরপর ফজরের ছালাত আদায়ের পর ক্লান্তিময় ভোরে ঘুমে কাতর হয়ে পড়েন। সবাই রমজান মাসে রুটিন ওয়ার্কের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ কাম ও প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে থাকেন। সিয়াম পালনকারী মানুষ একটি মাস একটু শান্তিময় পরিবেশে প্রত্যাশা করেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের খামখেয়ালীপনায় রমজান মাস শুরু থেকে বিদ্যুতের কারনে কোন না কোন ভাবে প্রায় দিনই মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। ছালাত আদায়কালে, আজানের সময়, ইফতারীর সময়, তারাবীর সময় নতুবা সেহরীর সময়, আবার দিনে অনেকবার বিদ্যুতের আনাগোনা চলে আসছে। শনিবার ভোরে মানুষ যখন ঘুমে কাতর, তখন বিদ্যুৎ বিভাগ কোন ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুতের লাগাম টেনে ধরে। সবাই ধারনা করেন হয়তো একটু বাদেই আবার কারেন্ট আসবে। কিন্তু না প্রায় দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুতের কোন দেখা মেলেনি বুধহাটা এলাকায়। বৈশাখের প্রচন্ড দাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ আর ঘরে টিকতে পারেনা। বাইরে রৌদ্রের প্রখরতায় সেখানেও ঠাঁই নেওয়ার উপায় ছিলনা। গৃহস্থলী বা বাইরের যেসব কাজে বিদ্যুতের প্রয়োজন তা আর করতে পারেনি কেউ। এমনকি প্রয়োজনীয় মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহারেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কিন্তু কেন. এই অবহেলা? কেন ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুতের দীর্ঘ লাগাম টানা। পূর্বে ঘোষণা থাকলে সবাই যার যার মত প্রস্তুতি নিতে পারতো। তাও করতে দেওয়া হলোনা। এব্যাপারে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে তাদের জবাব, মাইকে প্রচারের জন্য যে ঘোষক ছিলেন তার পায়খানা হওয়ায় ঘোষণা দিতে পারেনি। এহেন জবাব মেনে নিতে পারছেনা সচেতন গ্রাহকরা। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কি জবাব দেবেন? গ্রাহকদের দাবী বিষয়টি যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হোক।