এফএনএস আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের অবকাঠামো খাতে বড় আকারের ব্যয় অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই বছরের ঘোষিত বাজেটে ছোট ব্যবসায় ঋণ সুবিধা স¤প্রসারণের কথাও বলা হয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন এই বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। চাহিদা কমে যাওয়া, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, এবং ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টে বার্ষিক বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অর্থমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবার বাজেট পেশ করেন নির্মলা। এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান করা হবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ছাড়-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিপুল সাড়া মিলেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা।’ নির্মলা সীতারমণ তার বাজেট প্রস্তাবে অবকাঠামো খাতে বিগত বছরের তুলনায় ৩৫.৪ শতাংশ বেশি ব্যয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের মাস্টারপ্লান, ২৫ হাজার কিলোমিটার নতুন মহাসড়ক, একশ’ নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। কৃষি কাজসহ বিভিন্ন খাতে ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়ে তোলার উদ্দেশে স্টার্টআপ সংস্থাগুলোকে ‘ড্রোন শক্তি’ প্রকল্পের আওতায় আসার উৎসাহ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলোকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকরী করে তুলতে মোদি সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। আয়কর ছাড় নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও, অর্থনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে আয়কর কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ব্যক্তিগত কর কাঠামো একই থাকবে বলেও তিনি জানান। তবে যেসব যন্ত্রপাতি ভারতে তৈরি হয় তাদের উৎসাহ দিতে কাস্টম ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ দেশে তৈরি কৃষি যন্ত্রপাতি সস্তা হবে। সস্তা হবে পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, মোবাইল ফোন ও চার্জার। তবে বেকারত্ব সংকট নিরসনে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব বাজেটে না থাকায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন। সূত্র: বিবিসি