বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৭ অপরাহ্ন

ভাষার মাসে ভাষা শহিদদের প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মহান ভাষার মাসে ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন সাতক্ষীরার গণমানুষের প্রিয় নেতা বারবার নির্বাচিত সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অমর একুশ ১৯৫২, আমার ভাইয়েরা, ভাষা শহিদগণ আমাদের মায়ের ভাষায় আমাদের চেতনা বা অস্থিত্ব জানান দেয়ার জন্যে অকাতরে প্রাণ দিয়ে গেছেন। আমরা তাদের কাছে চির ঋণি হয়ে আছি। ”বাংলা’’ আমার ভাষা, আমার অহংকার, আমার গৌরব, মৃত্যুঞ্জয়ী ভাষা শহিদদের জানাই অবনত, অতল, বিন¤্র শ্রদ্ধা। ভাষা আন্দোলন পূর্ব পাকিস্থানে (বর্তমান বাংলাদেশ) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন, যা ছিল বাংলা ভাষাকে পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্থান গঠিত হয়, কিন্তু পাকিস্থানের দুটি অংশ পূর্ব পাকিস্থান (পূর্ব বাংলা হিসেবেও পরিচিত) ও পশ্চিম পাকিস্থানের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগলিক ও ভাষাগত দিক থেকে পার্থক্য ছিল প্রচুর। ১৯৪৮ সালে পাকিস্থান সরকার ঘোষণা করে উর্দুই হবে পাকিস্থানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, যা পূর্ব পাকিস্থানের বাংলাভাষী জনগণের মধ্যে তুমুল ক্ষোভের সৃষ্টি করে। আন্দোলন আরো জোরদার হয়ে ওঠে। পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে মিটিং-মিছিল ইত্যাদি বেআইনি ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক ছাত্র ও কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন। মিছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ মিছিলের উপর গুলি চালায়। গুলিতে নিহত হন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকে। এই ঘটনায় সমগ্র পূর্ব পাকিস্থানে ক্ষোভের আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার গণআন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করে এবং ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে পাকিস্থানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদান করে। ২০০০ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন ও মানুষের ভাষা ও কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্র“য়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ভাষার মাসে তাই আমার একটিই প্রত্যাশা- মানুষের সেই চেতনা বোধ জাগ্রত থাকুক। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রতিটি ব্যক্তি ও জাতিগোষ্ঠির মাতৃভাষার অধিকার হোক নিশ্চিত। সকল শিশু নিশ্চিন্তে কথা বলুক তার মায়ের ভাষায়- নিরাপদ থাক বর্ণমালা। আমি মনে করি, মাতৃভাষা এবং নিজস্ব সংস্কৃতি’কে বুকে ধারণ করা একটা জাতির জন্যে খুব জরুরি, কারণ এটি তাদের স্বকীয়তা, এর মাধ্যমেই জন্ম নেয় দেশ এর প্রতি মমত্ব বা প্রেম। আর এই দেশপ্রেমই শুধু দিতে পারে একটি দেশকে পুরো বিশ্ব মানচিত্রে আপন মহিমায় জায়গা করে মাথা উচু করে দাড়াবার। আজ ভীষণ দরকার জেগে উঠবার বাংলাদেশের বাংলাদেশী মানুষেরা বাংলা ভালবেসে, আসুন বাংলাকে ভালোবাসি। ”মাতৃ ভাষা”কে ঘিরে আপনার যে মমতা তা অটুট থাকুক, পৃথিবীর সব শিশুরা তাদের মায়ের বুকে শুয়ে নিশ্চিন্তে শুনুক তার মায়ের ভাষায় বলা প্রথম গল্প।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com