শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ভূস্বর্গ কাশ্মির এখন জনশূন্য \ সীমান্তে গোলাগুলি সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতের ওপর প্রভাব \ বেলুচিস্তানে বোমা হামলায় ৪ নিরাপত্তা কর্মী নিহত গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত শোলমারি সুইসগেট ও ভরাট নদী পরিদর্শনে খুলনা জেলা প্রশাসক বহেরা বাজার কমিটির নির্বাচন সভাপতি রাজীব—সম্পাদক রানা কলারোয়ায় মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করল মা কলারোয়ায় বিএনপি’র সাংগঠনিক কমিটির মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি হাবিব থামছে না সুন্দরবনে হরিণ শিকার যশোরে হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতকের লাশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে পেঁৗছেছেন ড. ইউনূস

ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্তে¡র শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

এফএনএস বিদেশ : ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্তে¡র ব্যাপারে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ প্রমাণ হাজির করেছেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বিবিসি। বিবিসি জানিয়েছে, কে২-১৮বি নামের একটি গ্রহের বায়ুমÐল নিয়ে গবেষণা করছিলেন ক্যামব্রিজের গবেষক দলটি। তারা ওই গ্রহে এমন অণুর লক্ষণ সনাক্ত করেছেন যা পৃথিবীতে কেবল সরল জীবের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহের বায়ুমÐলে জীবনের সাথে সম্পর্কিত দ্বিতীয় এবং আরো আশাব্যঞ্জক সময় রাসায়নিক সনাক্ত করেছেন তারা। অবশ্য গবেষক দল এবং স্বাধীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন যে এই ফলাফলগুলো নিশ্চিত করার জন্য আরো তথ্যের প্রয়োজন। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক নিক্কু মধুসূধন জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়ার আশা করছেন। তিনি বলেছেন, “সম্ভবত প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে সে ব্যাপারে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ। আমি বাস্তবসম্মতভাবে বলতে পারি যে আমরা এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই সংকেতটি নিশ্চিত করতে পারব।” কে২-১৮বি হচ্ছে পৃথিবীর আড়াই গুণ আকারের এবং আমাদের থেকে ৭০০ ট্রিলিয়ন মাইল বা ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এতোটাই শক্তিশালী যে এটি গ্রহের কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী ছোট লাল সূর্যের মধ্য দিয়ে আসা আলো থেকে গ্রহের বায়ুমÐলের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করতে পারে। কেমব্রিজ গ্রæপটি আবিষ্কার করেছে যে, বায়ুমÐলে জীবনের সাথে সম্পর্কিত ডাইমিথাইল সালফাইড ও ডাইমিথাইল ডাইসালফাইডের অণুর মধ্যে অন্তত একটির রাসায়নিক স্বাক্ষর রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে এই গ্যাসগুলো সামুদ্রিক ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন এবং ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। অধ্যাপক মধুসূদন জানান, একটি মাত্র পর্যবেক্ষণে দৃশ্যত এতো গ্যাস সনাক্ত করা হয়েছে দেখে তিনি অবাক হয়ে গেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com