স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপুর্ণ একটি স্তম্ভ রোজা। প্রতি বছর এগার মাস পরে মাহে রমজান মুসলিম জাতির আমল ও মুত্তাকী হওযার জন্য সুবর্ন সুযোগ নিয়ে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত, আর্বিভূত হন। মাহে রমজানের প্রথম জুম্মা ছিল গতকাল। জুম্মার নামাজকে কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকে মুসলীরা মাসজিদে কুবায় আসতে শুরু করে। মাহে রমজানে রহমতের প্রথম জুম্মায় সাতক্ষীরা শহরের মেহেদীবাগ মাসজিদে কুবায় মুসলীদের সাথে জুম্মার নামাজ আদায় করলেন মানবিক জজ খ্যাত সাতক্ষীরার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমান। জুম্মার নামাজের পূর্বেই তিনি মুসলীদের ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ কোরআন মজিদ নাজিল, ইসলামের ইমান, আকিদা, পবিত্র রমজানের ফজিলত, রমজান মাসের দান খইরাত, আখেরাত, মাগফিরাত, জান্নাত বিধান পরিচালনা সহ জ্ঞান গর্ভ বক্তৃতা রাখেন। রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। মানব জাতির জন্য এটি গাইড স্বরুপ। কোরআন শরীফ বেশী বেশী পড়তে হবে। মসজিদ আলাহর ঘর। মসজিদে দান করলে সওয়াব পাওয়া যাবে। দান একটা সদকায়ে জারিয়া। আপনারা মাহে রমজানে বেশী বেশী দান করবেন। দুঃস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের যাকাত দিবেন। আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করবেন। মসজিদে যত বেশী নামাজ পড়তে আসবেন তত খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন। আপনারা রমজান মাসে ভাল কাজ করবেন। খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এর পূর্বে মাহে রমজানের ফজিলত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দেশ ও জাতির উন্নতি সমৃদ্ধি কামনা করেন মোনাজাত করেন মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান। জুম্মার নামাজের পূর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাসজিদে কুবার সভাপতি ও দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম। জুম্মার নামাজের উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানুলাহ আল হাদী, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সদর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির, জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু, উদীসির জেলা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, মাসজিদে কুবার কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, আবু জাফর, গোলাম রহমান, আব্দুল গনি, সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন সম্পাদক আবুল কালাম, সাংবাদিক মহিদার রহমান, দৃষ্টিপাত বার্তা সম্পাদক আদম শফিউলাহ, সহ সম্পাদক ওমর ফারুক, চীফ রিপোর্টার মাছুদুর জামান সুমন, স্টাফ রিপোর্টার মীর আবু বকর প্রমুখ। এছাড়া মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানবিক জজ দীর্ঘক্ষন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ঐ বক্তৃতা মুসলীরা অত্যন্ত আগ্রহভাবে শ্রবন করছিলেন। মানবিক জজকে কাছে পেয়ে মুসলীরা অভিভূত হয়ে পড়েন।