শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

মাহে রমজানের সওগাত

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : পবিত্র মাহে রমজানের আজ পঞ্চদশ দিবস। আমাদের এই ধারাবাহিক প্রতিবেদনের গতকালের পর্বে মাহে রমজানের মূল উদ্দেশ্য তাকওয়ার বর্ণনা পেশ করেছি। আজ তাকওয়া অর্জনের উপায় নিয়ে কিছু কথা বলবো। মহান আল­াহ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অর্জনের পথ নির্দেশ করেছেন। তাকওয়া অর্জনকে আমল কবুল হওয়ার শর্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ তাকওয়া হলো এমন গুণ যায় জন্য আমল কবুল হয়। সুরা আহযাবের ৭০-৭১ আয়াতে আল­াহ বলেন, হে মুমিনগণ! আল­াহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বলো। তিনি তোমাদের আচরণ সংশোধন এবং তোমাদের পাপ সমুহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল­াহ ও তার রসুলের আনুগত্য করবে সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। সুরা মায়েদার ২৭ আয়াতের মূল বক্তব্য হলো, আল­াহ তাদের কর্মই কবুল করেন যাদের তাকওয়া আছে। তাকওয়া হলো আল­াহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। আল­াহ নিজেই বলেছেন, তারাই আল­াহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে যারা তাকওয়াবান, খোদাভীরু। তাকওয়ার আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এর মাধ্যমে ব্যক্তি ক্ষমা লাভ করে থাকেন। তাকওয়াবান বান্দাকে আল­াহ ক্ষমা করে দেন। এ সম্পর্কে সুরা তালাকের ৫ম আয়াতে আল­াহ বলেন, যে ব্যক্তি আল­াহ কে ভয় করে আল­াহ তার পাপ মোচন করেন এবং তাকে মহা পুরষ্কার দেন। অর্থাৎ তাকওয়ার কারণে আল­াহ বান্দার পাপ ক্ষমা করে দিবেন এবং প্রতিদান দেবেন। তাছাড়া তাকওয়া অর্জনকারীদের আল­াহ সরল পথে পরিচালিত করেন। তাদেরকে সরল পথ দেখান ও গোমরাহীর পথ থেকে রক্ষা করেন। পবিত্র কোরআনে আল­াহ বলেছেন: হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আল­াহকে ভয় করতে থাক তবে আল­াহ তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন। বস্তুত আল­াহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান, অর্থাৎ আল­াহ তোমাদের ফুরকান দান করবেন। ফুরকান হলো ভালো মন্দ বোঝার শক্তি, হক বাতিল বা সত্য মিথ্যা বিবেচনার ক্ষমতা সুরা হাদীদের ২৮তম আয়াতে আল­াহ বলেন: হে মুমিনগণ , তোমরা আল­াহকে ভয় কর এবং তার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি নিজ অনুগ্রহের দ্বিগুণ তোমাদের দেবেন। তোমাদের দিবেন আলো, যার সাহায্যে তোমরা চলতে পার এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল­াহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান। মহান আল­াহর নিদর্শনের প্রতি সম্মান প্রদান করাও তাকওয়ার পরিচায়ক। আল­াহ বলেছেন : ইহা আল­াহ বিধান। কেউ আল­াহর নামযুক্ত বস্ত্র সমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তার হৃদয়ের আল­াহ ভীতি প্রসূত। সুরা ইউনুসের ৬২ ও ৬৩ আয়াতে আল­াহ আয়াতে বলেছেন, মনে রেখো, যারা আল­াহর বন্ধু, যারা ঈমান এনেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, আর না তারা চিন্তিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com