শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নূরনগরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত নূরনগরে ছাত্রশিবিরের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত তালায় অভ্যুত্থানের পূর্বের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে সাতক্ষীরায় কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় মেধাবীতে অংশ গ্রহন পারুলিয়ায় জেলা প্রশাসক ॥ মাঝ পারুলিয়াকে আদর্শ গ্রাম ঘোষনা লক্ষ টাকার ৮ দলীয় নলতা ইউপি চেয়ারম্যান কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলায় মহিষকুড় সূর্য্য সৈনিক ক্লাব চ্যাম্পিয়ন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীর আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন বাঁশদহা ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত দেশ ও জাতি গঠনে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে বললেন খুলনায় পুলিশ কমিশনার

মাহে রমজানের সওগাত

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : আজ আটই রমজান। মাহে রমজানে মহান আল­াহর রহমত মন্ডিত দশকের আর মাত্র দুই দিন বাকি। তাঁর রহমত সিক্ত হয়ে হালাল উপার্জনে ব্রতী হওয়ার মাস এই রমজান। কারণ মুসলমানদের ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হচ্ছে হালাল উপার্জন। যার খাদ্য, পানীয় ও পোশাক হারাম আয়ের এবং যিনি হারাম খেয়েই নিজের শরীরের রক্ত-মাংস তৈরি করেছেন তার ইবাদত আল­াহ কবুল করবেন না। তাই এই ধরনের লোকদের রোজা ব্যর্থ। রসুলুল­াহ সা. বলেছেন নিজের হাতের কামাই রোজাগারের চাইতে বান্দার উত্তম খাবার আর কিছু নাই। আল­াহর নবীগণ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। হযরত নূহ আলাইহিস সালাম কাঠ মিস্ত্রি ছিলেন, হযরত মূসা আ. ছিলেন রাখাল, হযরত দাউদ আ. ছিলেন কামার, হজরত সুলাইমান আ. ছিলেন রাজমিস্ত্রি, হজরত যাকারিয়া আ. ছিলেন কাঠ মিস্ত্রি এবং আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম ছিলেন প্রথম জীবনে রাখাল এবং পরবর্তীকালে ছিলেন ব্যবসায়ী। মানুষের জীবন, কাজকর্ম, চরিত্র ও আচরণের উপর হালাল ও হারামের প্রভাব পড়ে। হালাল খাবার খেলে গুনাহ ও নিষিদ্ধ কাজ করার প্রেরণা জাগে। সে জন্য হালাল খাদ্য গ্রহণের জন্য মহান আল­াহ রাব্বুল আলামীন নির্দেশ দিয়েছেন। সুরা আল-মুমিনের ৫১ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে রসুলগণ, তোমরা পবিত্র জিনিস থেকে খাবার গ্রহণ করো এবং নেক কাজ করো’। এখানে পবিত্র খাবারের সঙ্গে নেক আমলকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে। সুরা বাকারার ১৭২ আয়তে বলা হয়েছ,‘হে মুমিনগণ, তোমরা আমার প্রদত্ত পবিত্র রিজিক খাও এবং আল­াহর শুকরিয়া আদায় কর, যদি তোমরা সত্যিই আল­াহর ইবাদতকারী হও’। ইসলাম একদিকে ব্যক্তি জীবনে যেমন হালাল আয়ের নির্দেশ দিয়েছে, তেমনি সামাজিক ও সামষ্টিক জীবনেও হালাল আয়-রোজগারের নিশ্চয়তা বিধান করেছে। ইসলাম সুদ, ঘুষ, জুয়া হারাম জিনিসের ব্যবসা বাণিজ্য, চোরাকারবারী, মজুদদারী, ওজনে কম দেয়া, ভেজাল মেশানো, চুরি-ডাকাতি, জুলুম-নির্যাতন ও ছিনতাই, রাহাজানির মাধ্যমে অর্জিত আয়কে হারাম ঘোষণা করেছে। তাই একজন রোজাদার মুসলমানকে ব্যক্তিগত আয়-রোজগার হালাল করার সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিকেও ইসলাম সম্মত করার চেষ্টা করতে হবে। রাষ্ট্র থেকে সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া ও অন্যান্য হারাম আয়ের সকল উৎস বন্ধ করার লক্ষ্যে চেষ্টা চালাতে হবে। তা না হলে সে সবের হারাম প্রভাবও ব্যক্তি জীবন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। এজন্যই দেশে ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যবস্থা কার্যকর করতে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে ব্যক্তিগত আয়কে হালাল করা সহজতর হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com