বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

মুখের দাগছোপ দূর হবে ঘরোয়া উপায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪

এফএনএস লাইফস্টাইল: শরীরে দাগছোপ বড়ই দৃষ্টিকটু দেখায়। তবে চাইলে দাগগুলো পুরোপুরি মুছে না ফেলতে পারলেও সঠিক ট্রিটমেন্টে তা কমিয়ে আনা সম্ভব। রূপকাহনে ডার্ক স্পট এবং কালে ছোপ ছোপ দাগ কেবল মেয়েদেরই হয় না, ছেলেদেরও হয়। কিন্তু আগে জানতে হবে মুখের দাগছোপ কী কারণে, কীভাবে এবং ঠিক কবে থেকে হলো? দাগছোপের ধরন কী? এগুলোকে ক্লিনিক্যাল ভাষায় পিগমেন্টেশন বলা হয়। সমস্যা সমাধানে ভালো কসমোলজিস্ট বা স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন। বাইরে ঘোরাফেরা, সানবার্ন ও অতিরিক্ত ঘামের কারণে আমাদের শরীরে পিগমেন্টেশন দেখা দেয়। অর্থাৎ ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরি হলে এমন দাগ দেখা দিতে পারে। বেশি মাত্রায় ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও এমন সমস্যা হয়। যেসব জায়গা সূর্যরশ্মির সরাসরি সংস্পর্শে আসে, কিংবা বেশি ঘামে, সেসব জায়গায় এসব দাগ দেখা দেয়। মুখমণ্ডল, ঘাড়, পিঠ কিংবা বাহুতে এ ধরনের সমস্য দেখা দিতে পারে। সাধারণত হালকা থেকে গাঢ় বাদামি বা কালচে দাগ হতে পারে। নানা কারণে ত্বকে ডার্ক স্পট দেখা দিতে পারে। এমনকি অল্প বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টি ট্যান ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে দাগ সরিয়ে ফেলতে হবে। সাধারণত প্রেসক্রাইবড ব্লিচিং ক্রিমগুলো কয়েক মাস ব্যবহারে ডার্ক স্পট হালকা হয়। এগুলোয় হাইড্রোকুইনোন থাকে, যা ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন নিঃসরণ রোধ করে। অনেকে এমন সমস্যায় ব্লিচ করান। যা সঠিক সমাধান নয়। স্কিন ডাক্তারদের মতে, ব্লিচ ত্বকের স্বাভাবিকতা নষ্ট করে ফেলে। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে। অনেকে মেছতা হলে বিজ্ঞাপন দেখে ক্রিম ব্যবহার করেন। এতে ঝামেলা আরও বাড়ে। তবে নিয়মিত ট্রিটমেন্টে মেছতা পুরোপুরি না সারলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হোম কেয়ার : সঠিক ট্রিটমেন্টে ডার্ক স্পটের সমাধান করা সম্ভব। এজন্য অবশ্য নিয়মিত হোম কেয়ার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সানব্লক অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এক্সপার্টের সাজেশনে ফেস ওয়াশ, সেরাম, ডেক্রিম, নাইট ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেনসিটিভ ত্বকের ক্ষেত্রে হোম ট্রিটমেন্টের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এসব ক্রিমে বিভিন্ন মাত্রায় কেমিক্যাল উপাদান থাকায় ত্বকে র‌্যাশ বা চুলকানি হতে পারে। ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট : সাধারণত দাগছোপ দূর করতে প্যাটি ট্যান, ডি পিগমেন্টেশন, হোয়াটেনিং, ব্রাইটেনিং, ডি-ট্যান ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি করা হয়। হোম ট্রিটমেন্ট : কালচে ভাব দূর করতে টকদই, হলুদ গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এরপর মধু মুলতানি মাটির সঙ্গে মিলিয়ে আবার লাগান। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। কিন্তু হলুদ মেখে রোদে বেরোবেন না। আরও কালো হয়ে যাবে। তাই হোম ট্রিটমেন্টের সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com