এফএনএস স্বাস্থ্য: করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাটছে দিনকাল। এই পরিস্থিতিতে এখন মনকে শান্ত রাখার প্রয়োজনই সবচেয়ে বেশি। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক অস্থিরতার কারণে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে যায়। উদ্বেগ কমিয়ে নিজেকে ফুরফুরে রাখতে কয়েকটি ব্যায়াম করতে পারেন নিয়মিত। এসব ব্যায়াম শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে দূরে রাখতেও সাহায্য করবে।
শ্বাস—প্রশ্বাসের ব্যায়াম— ১
প্রথমে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে দু’টি পায়ের তালুকে উল্টো দিকের থাইয়ের উপর রেখে দুটি হাত রাখতে হবে দুটি হাঁটুর উপর। তারপর দুটি চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিতে হবে। বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে চেপে রেখে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে। এই ব্যায়াম আমাদের শ্বাস—প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখবে। শরীর, মনকেও রাখবে ঝরঝরে।
শ্বাস—প্রশ্বাসের ব্যায়াম— ২
প্রথমে মেরুদণ্ড একেবারে সোজা রেখে বসতে হবে। ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে ডান নাসারন্ধ্র চেপে ধরতে হবে যেন ডান নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস—প্রশ্বাস নেওয়া না যায়। ওই সময় খুব ধীরে ধীরে বাম নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। অন্তত ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড ধরে এটা করতে হবে।
তারপর বা হাতের অনামিকা বা কনিষ্ঠা দিয়ে বাম নাসারন্ধ্র চেপে ধরতে হবে যেন বাম নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস—প্রশ্বাস না নেওয়া যায়। অন্তত ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড। ওই সময় ডান নাসারন্ধ্র দিয়ে খুব ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। এই ভাবে ৮ থেকে ১০ মিনিট ধরে করে যেতে হবে শ্বাস—প্রশ্বাসের এই ব্যায়াম
শ্বাস—প্রশ্বাসের ব্যায়াম— ৩
মেঝে বা বিছানায় দুই পা দুদিকে ছড়িয়ে রেখে শুয়ে পড়তে হবে। হাত দুটি দুইপাশে ছড়িয়ে রাখতে হবে। হাত বা পা ছড়িয়ে রাখার ক্ষেত্রে যেন কোনও আড়ষ্টতা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চোখ ও মুখ বন্ধ করে ৬/৭ সেকেন্ড ধরে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে। সেই শ্বাস কিছুক্ষণ শরীরে ধরে রাখতে হবে। তারপর নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে ধীরে ধীরে। এই ভাবে ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে অন্তত মিনিট দশেক।
শ্বাস—প্রশ্বাসের ব্যায়াম— ৪
মাটি বা বিছানায় শুয়ে পড়তে হবে। মাথা আর হাঁটুর তলায় বালিশ থাকলে আরও ভালো হয়। তারপর একটা হাত রাখুন পেটের ওপর। অন্য হাতটি রাখুন হৃদপিণ্ডের উপর। এবার শ্বাস নিতে শুরু করুন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন সেই সময় পাকস্থলীর নড়াচড়া না হয়। এই ব্যায়াম মেরুদণ্ড সোজা করে পদ্মাসনে বসেও করা যায়
শ্বাস কিছুক্ষণ চেপে রাখার পর পাকস্থলীর পেশিগুলিকে চাপ দিয়ে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। এই ব্যায়াম ৫ থেকে ১০ মিনিট করতে হবে।
৬ বিষয় মেনে কমান ওজন
ঘরে বসে থেকে অনিয়ম ও অলসতার কারণে বাড়ছে ওজন। সুস্থ থাকতে এই মুহূর্তে বাড়তি ওজন নিয়ে থাকতে হবে সচেতন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, নিয়মিত ৬টি কাজের একটি তালিকা অনুসরণ করলেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
প্রচুর পানি পান করতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন এবং শর্করাকে শরীর থেকে বের করে দিতে পারে অনায়াসে।
গ্রিন টি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ব্ল্যাক টি বা দুধ চা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গ্রিন টি পান করুন। এটি পাচনতন্ত্রে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
শসার সালাদ খান শশা এমন একটি সবজি যা শরীরকে অ্যালক্যালাইনমুক্ত হতে সাহায্য করে। তাছাড়া শশা খেলে অল্পতেই পেট ভরে যায়। ফলে বারবার ক্ষুধা লাগে না।
সবজি এবং ফলে প্রোটিনের পরিমাণ সাধারণত কম থাকে। প্রোটিন আবার মেদ বাড়ায়। বিনস জাতীয় সবজিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই বিনস পরিহার করুন। অল্প প্রোটিনযুক্ত শাকসবজির উপর ভরসা করুন।
বিনা পরিশ্রমে দ্রুত মেদ কমানো প্রায় অসম্ভব। কায়িক পরিশ্রম করতেই হবে। এখন যেহেতু বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না, ঘরেই নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
খাওয়া—দাওয়া কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। ফাস্টফুড, কোল্ডড্রিংক বাদ দিন খাদ্য তালিকা থেকে। রাখুন শাকসবজি, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ও তাজা ফল।