মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতিনিয়ত ভাংগনে ইছামতি ও কালিন্দী নদী \ ছোট হয়ে আসছে সাতক্ষীরা \ বাংলাদেশ হারাচ্ছে ভূ—খন্ড \ স্থায়ী সমাধান জরুরী প্রয়োজন মেগা প্রকল্প গ্রহণ \ এখনই সময় দেবহাটা সর: পাইলট হাইস্কুলের শহীদ মিনার উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ দেবহাটা রিপোটার্স ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ দেবহাটায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শ্যামনগরে গর্ভবতী গরু জবাই \গ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীকে জরিমানা সাতক্ষীরায় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন সাতক্ষীরায় প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম রসুলপুর জান্নাতুল ফিরদাউস কুরআনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাদ ঢালাই উদ্বোধন ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়ায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর আবাদী জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত খুলনায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীতে দুষ্কৃতকারীরা নষ্ট সিসি ক্যামেরার ফায়দা নিচ্ছে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

এফএনএস এক্সক্লুসিভ: রাজধানীতে দুষ্কৃতিকারীরা নষ্ট সিসি ক্যামেরার ফায়দা নিচ্ছে। বর্তমানে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর দুই শতাধিক ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ওই এলাকাগুলোতে অপরাধী শনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে। আর ওই সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরা শুধু অপরাধী শনাক্ত কিংবা রহস্য উদঘাটন করার ক্ষেত্রেই নয়, বরং অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ রাখে। আইন—শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ডিএমপি গত বছর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুই হাজার ১০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। আর গুলশান থানায় স্থাপিত একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বেশির ভাগ ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক, সমিতি কিংবা সংগঠনের পক্ষ থেকে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। পুলিশ অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ওসব ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করে। সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে ফেলে। তার মধ্যে মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, রামপুরা, ভাটারা, মিরপুর, উত্তরা, মতিঝিল ও যাত্রাবাড়ী এলাকার বেশির ভাগ সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অপরাধী শনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে। বিগত ২০১২ সালে ডিএমপি কমিশনারের উদ্যোগে রাজধানীতে সিসি ক্যামেরা প্রকল্প চালু হয়। তখন সম্পূর্ণ বেসরকারি অর্থায়নে ‘ল অ্যান্ড অর্ডার কো—অর্ডিনেশন কমিটি’ বা এলওসিসি নামের একটি ট্রাস্ট গড়ে তোলা হয়। ট্রাস্টের অধীনে গুলশান, বনানী, নিকেতন, বারিধারা ও ডিওএইচএস এলাকায় এক হাজার ৪০০টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। গুলশানে একটি আধুনিক মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করে সেখান থেকেই ওসব ক্যামেরা মনিটর করা হয়। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর কমিটির মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজ ডিএমপির অপারেশনস বিভাগ, আইসিটি বিভাগ ও এমআইএস শাখার মাধ্যমে নবাব আব্দুল গনি রোডে সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্টে্রাল সেন্টার থেকে সাত শতাধিক সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হয়। এ প্রসঙ্গে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত জুলাই—আগস্টে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা ধ্বংস করা হয়। সংখ্যায় প্রায় ২০০। এগুলো মেরামতের কাজ চলছে। রাজধানীতে পুলিশের স্থাপন করা দুই হাজার ১০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য রাস্তার মোড়, ইন্টারসেকশন, প্রবেশ—বাহির পথ, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—কেপিআইসংলগ্ন পয়েন্টে এসব সিসি ক্যামেরা চালু রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com