শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটার পারুলিয়া সহ অন্যান্য হাটবাজারে ঈদ কেনা কাটায় ব্যাপক উপস্থিতি সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকা জনদুর্ভোগ আর জনদুর্যোগের স্থলে আবারও সেই ইট সোলিং \ কিন্তু কেন? নওয়াবেঁকীতে বাৎসরিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের প্রস্তুতি সভা নূরনগরের জাকির হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নূরনগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় যমজ সন্তান পরিবারের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পলাশপোল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ফোরামের ইফতার মাহফিল উদারতা যুব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল সুন্দরবনের গহীন থেকে এক বৃদ্ধা নারী উদ্ধার বিদেশ পাঠানোর নামে নয় যুবকের অর্ধকোটি টাকা প্রতারক চক্রের পকেটে

লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে গতি নেই

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস এক্সক্লুসিভ: দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকালে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে গতি নেই। লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত সেপ্টেম্বরে আইন—শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যে তোড়জোড় শুরু করেছিল, তার গতি অনেকটাই কমে গেছে। আর লুটের অস্ত্র অপরাধীদের হাতে চলে গেছে। অতিসম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরের ডবলমুরিং এলাকায় ডাকাতদের একটি গোপন আস্তানা থেকে লুট হওয়া বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে লুট হওয়া অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে গত আগস্টে ফেনীতে ধরা পড়ে এক যুবক। আইন—শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় গত বছরের ৫ ও ৬ আগস্ট দেশের বিভিন্ন থানায় ও কারাগারে হামলা চালিয়ে পিস্তল, রিভলভার, শটগানসহ ১১ ধরনের পাঁচ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র লুট হয়। তার মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে চার হাজার ৩৫৮টি অস্ত্র। এখন পর্যন্ত উদ্ধারের বাইরে রয়েছে এক হাজার ৩৯২টি অস্ত্র। ওসব অস্ত্রের মধ্যে গণভবন ও জাতীয় সংসদ ভবন থেকে লুট হওয়া এসএসএফের অস্ত্রও রয়েছে। সূত্র জানায়, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে অনেক ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের পুলিশ চেইন অব কমান্ড মানছে না। মানছে না সদর দপ্তরের নির্দেশনাও। বিভিন্ন অজুহাতে তারা নিষ্ক্রিয়। আর এওই সুযোগে ডাকাত, ছিনতাইকারী ও দস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দিন দিন অপরাধ বাড়ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী গত বছরের আগস্ট মাসে ডাকাতির মামলা হয় ৩৭টি। পরের মাস সেপ্টেম্বরে ডাকাতি বেড়ে ৫৭টিতে দাঁড়ায়। তাছাড়া ওই মাসটিতে ১০৪টি দস্যুতার মামলা হয়। অক্টোবরে ডাকাতির মামলা বেড়ে ৬৮ এবং দস্যুতা ১৫৭টিতে গিয়ে দাঁড়ায়। নভেম্বরে ডাকাতির ৪৭ এবং দস্যুতার ১৩৩টি মামলা হয়। গত ডিসেম্বরে ডাকাতির মামলা হয় ৭১টি এবং দস্যুতার মামলা হয় ১৫৯টি। জানুয়ারি মাসেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ডাকাতির তথ্য মিলছে। সূত্র জানায়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মাঠপর্যায়ের পুলিশের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও পুলিশকে প্রভাবিত করছে। যার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বিগত সরকারের আমলে সুবিধা পাওয়া পুলিশ সদস্যরাও। তাছাড়া নানা কারণে পুলিশের মনোবল পুরোপুরি ফিরে আসেনি। যদিও পুলিশের মনোবল বাড়াতে প্রতিনিয়ত মোটিভেট করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা মেনে কাজ করছে মাঠপর্যায়ের পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধার অন্যতম অগ্রাধিকার। সারা দেশে অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com